সাইদ রিপন: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের প্রত্যেকটা উঁচ-নীচু বিল্ডিং শতভাগ ইন্সুরেন্সের আওতায় আসতে হবে। বীমা খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের দুর্ঘটনা ইন্সুরেন্স, গাড়ির ইন্সুরেন্স করতে হবে। যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিও একটি টেকসই অবস্থানে পৌঁছে যাবে।
রোববার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বীমা খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারাই বলেছেন, দেশের বীমা কোম্পানিগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাই বীমা খাতে বৈচিত্র আনতে হবে। যাতে আগামীতে দেশের অর্থনীতিতে এই খাত আরও শক্তিশালী ভ‚মিকা রাখতে পারবে। পর্যায়ক্রমে গবাদিপশু, অফিস এসব কিছুই ইন্সুরেন্সের আওতায় আনা হবে। এজন্য এই খাতে মানব সম্পদ উন্নয়ন বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই খাত থেকে স্কলারশিপ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করতে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এখন আমরা ইন্সুরেন্স খাত থেকে সুবিধা নিতে চাই। সবাই যেন লাভবান হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই কোনো না কোনো বাসায় থাকি, ফ্ল্যাটে থাকি। কোম্পানিগুলোর দাবি, ফ্ল্যাটগুলোর ইন্সুরেন্স বাধ্যতাম‚লক করা। আমরা যে অফিসে থাকি সেটার ইন্সুরেন্স আছে কিনা, আমরা জানি না। কোম্পানিগুলোর দাবি, সেগুলোও ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে। বিদেশে শুধু মানুষ ও প্রোপার্টি নয়, কুকুর-বিড়ালেরও ইন্সুরেন্স আছে। আমাদের দেশকে যদি শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়তে হয়, তবে দেশের প্রত্যেকটা কম্পোনেন্টকে মনের মাধুরি মিশিয়ে সামনে নিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছরের পহেলা মার্চ থেকে প্রতিবছর বীমা দিবস পালন করা হবে। সেই দিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি পাওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা সবার কথা শুনেছি। সবাইকে সমানভাবে সুযোগ দিয়েছি। সবার অংশগ্রহণে বীমা খাত অর্থনীতিতে আরও শক্তিশালী ভ‚মিকা রাখবে বলে আশা করি।
আপনার মতামত লিখুন :