সাইফুর রহমান : হংকংয়ের কয়েকশো বিক্ষোভকারী রবিবার ব্রিটিশ কনসুলেটের সামনে জড়ো হয়ে ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানায়, তারা যেন হংকংয়ের প্রতিশ্রুত স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে চীনকে বাধ্য করে। সায়ত্বশাসনের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বেইজিংয়ের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারনে গত কয়েক সপ্তাহের আন্দোলনে হংকংয়ের পরিস্থিতি বেশ কয়েকবার সহিংস রুপ নিয়েছে। ইয়ন
১৯৮৪ সালের ইঙ্গ-চীন যৌথ চুক্তি অনুযায়ী ১৯৯৭ সালে হংকং চীনের অধিভূক্ত হয়। চীনের মূল ভূখন্ডে ব্যক্তিস্বাধীনতা না থাকলেও এই চুক্তিমতে স্পষ্টভাবে এক দেশ দুই নীতিতে হংকংয়ে তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ছিল।
বিক্ষোভকারীরা প্রতিশ্রুত ‘এক দেশ দুই নীতি’ হারিয়ে গেছে বলে স্লোগান দেয়। তাদের হাতে শোভা পেয়েছে হংকংয়ের মুক্তি চেয়ে স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পতাকা। অনেক যুবক হংকং ছেড়ে যাওয়ার আগ্রহ জানিয়ে হংকংয়ের নাগরিকদের জন্য ব্রিটিশ পাসপোর্টের (উপনিবেশ অঞ্চলে) স্ট্যাটাস পরিবর্তনেরও দাবি জানান। বর্তমানে হংকংয়ের নাগরিকরা এই পাসপোর্ট ব্যবহার করে ৬ মাসের ভ্রমন ভিসা পেলেও ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের বা কাজের অনুমতি পায় না। ২৫ বছর বয়সী জ্যাকি সাং রয়টার্সকে জানান, ব্রিটেন হংকংয়ের নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করুক এই দাবি নিয়ে আমি এখানে এসেছি।
এদিকে সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট নামে ভিক্টোরিয়া পার্কে একটি গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে কিন্তু সহিংসতার আশঙ্কায় পুলিশ কোনোরকম সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। তবে বিক্ষ্ভোকারীরা যেকোনো মূল্যে সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালের চুক্তি চীনের পুরোপুরি মেনে চলা উচিৎ কিন্তু বেইজিং জানায়, তারা প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে এবং হংকং ইস্যু একান্তই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এছাড়া হংকং পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে দায়ীও করে তারা।
আপনার মতামত লিখুন :