স্বপ্না চক্রবর্তী : টনপ্রতি পেঁয়াজের ৮৫০ ডলার ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশের অন্যতম আমদানির উৎস দেশ ভারত। এই খবরে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ টাকা। গত বৃহস্পতিবারও যেখানে দেশি পেঁয়াজ ছিলো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা সেখানে রোববার রাজধানীর বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৬০ টাকায়।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারগুলোতে হঠাৎ দাম বাড়ানোর কারণেই তাদেরকেও বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হচ্ছে। রাজধানীর মগবাজারের চেয়ারম্যান গলির মুদি দোকানি সোহানুর রহমান বলেন, এমনিতেই দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এর মধ্যে ভারত ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে। এর ফলে আমাদেরকেও প্রায় ১০ টাকা বেশি দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা বাধ্য হয়েই খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি করছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, প্রতি বছর দেশে চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পেঁয়াজ দেশে উৎপাদিত হয়। এর ফলে প্রায় ৪০ থেকে ৩০ শতাংশ আমদানি করতে হয় যার প্রায় পুরোটাই আসে ভারত থেকে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে আমদানি হয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৯২ হাজার টন। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকায় পেঁয়াজ অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। একটি মাঝারি পরিবারে মাসে গড়পড়তা পাঁচ কেজি পেঁয়াজ লাগে। দেশে নতুন মৌসুম শুরু হবে আগামী ডিসেম্বরে। তখন আগাম পেঁয়াজ বাজারে আসবে। এর আগ পর্যন্ত আমদানির ওপরই নির্ভর করতে হবে।
ভারতের দ্য হিন্দু’র এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটির রাজধানী দিল্লিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৫০ রুপিতে উঠেছে। এ কারণে ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) গত শুক্রবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনাটি জারি করে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই রপ্তানি মূল্য বহাল থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :