মমতাজুর রহমান : বগুড়ার সান্তাহারে এক সন্তানের মাকে গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামীদের মধ্যে একজন বাদে অপর আসামীদের এক সপ্তাহেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে আসামীদের প্রভাবশালী স্বজনরা ওই ধর্ষিতা এবং তার মা-বাবাকে মোবাইল ফোনে ও সাক্ষাতে আপোষ করার মাধ্যমে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি-ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ মিলেছে।
হুমকি-ধামকির ভয়ে ওই ধর্ষিতা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে এবং বাবার বাড়ি ছেড়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন বলে দাবী করেছেন তার কুলি-মজদুর বাবা। জানা গেছে, এক সন্তানের মা স্বামী পরিত্যক্তা (২০) এক নারী সান্তাহার “শখের পল্লী” নামক বিনোদন কেন্দ্রে দোকান দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধায় দোকান বন্ধ করে চাচাতো ভাই সুজন আলীকে সাথে নিয়ে রিকশা-ভ্যান যোগে শহরতলীর কাশিমালা গ্রামে ফুফুর বাড়িতে যাচ্ছিল। তারা সন্ধারাত ৭টার দিকে শহরের তিয়রপাড়া খাড়ির ব্রীজ অতিক্রম করছিল। এসময়, সেখানে আড্ডারত শহরের রথবাড়ি এলাকার ৭/৮ জন বখাটে যুব গ্যাং রিক্সা-ভ্যানটি আটকিয়ে দেয়।
তারা রিক্সা-ভ্যানের চালক ও ওই নারীর চাচাতো ভাইকে মারপিট করে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে এক সন্তানের মা ওই নারীকে টেনে হেঁচরে রিক্সা-ভ্যান থেকে নামিয়ে খাল পাড়ের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোড় পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। রাত ১১টার দিকে স্বজনরা খবর পেয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এর পর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিকট প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করায়। এঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষিতা নারী বাদী হয়ে সান্তাহার রথবাড়ী এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৫), আইয়ুব আলীর ছেলে নাহিদ (২৫), শাজাহানের ছেলে জুয়েল রানা (২৩), নাজির হোসেনর ছেলে পান্না, এবং নুর ইসলামের ছেলে মোমিন এর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর পুলিশ জুয়েল রানা নামের একজনকে গ্রেফতার করে। এর পর গত এক সপ্তাহেও অপর আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এব্যাপারে আদমদীঘি থানা অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, এই মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করার পাশাপাশি পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের তৎপরা চালানো হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :