শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৫ দুপুর
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছেলে এশিয়া কাপের ম্যাচ সেরা পুরস্কার নিচ্ছেন, মা ভেজা চোখে বাসের কন্ডাক্টারি করছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে সপ্তমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জিতে নেয় ভারত। ভারতের জয়ের নায়ক বাঁহাতি স্পিনার অথর্ব আনকোলেকার। কলম্বোর ফাইনাল জিততে হলে ১০৬ রান ডিফেন্ড করতে হতো ভারতকে। সেটাই তারা করে দেখিয়েছে। ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। ২৮ রানে ৫ উইকেট নিতে যাতে সবচেয়ে বড় অবদান ছিলো আনকোলেকারের। ১৮ বছর বয়সি এই স্পিনার জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

ছেলে খেলছে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে। এদিকে, বাসের টিকিট কাটতে কাটতে ছেলের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার খবর শুনে চোখ ভিজছে মায়ের। অথর্বের ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার লড়াই ছিলো কঠিন। নয় বছর আগে বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি। তার পর মা বৈদেহির কাঁধে এসে পড়ে সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব। দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন একার লড়াই। মুম্বাইয়ের সরকারী বাসের কন্ডাক্টরের চাকরি পান তিনি। তার পর শুরু হয় সংসার সংগ্রাম।

সংগ্রাম করেই ছেলেকে ক্রিকেটার বানিয়েছেন মা। ছেলের এমন সাফল্যে খুশি মা বৈদেহি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘আশা করি ওর বাবা এটা দেখেছেন। ও ওর বাবাকে গর্বিত করেছে, ও সবাইকে গর্বিত করেছে।’

স্বামীর মৃত্যুর পর তাকে কতটা লড়াই করতে হয়েছে, বৈদেহি শোনালেন সেই গল্পটাও, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমি শিক্ষার্থীদের টিউশন করিয়ে সংসার চালিয়েছি। এরপর ২০১৪ সালে আমি বাসের চাকরিটা পাই। জীবনটা অনেক কঠিন ছিলো। ২০১০ সালে একবার আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ও ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চায় কি না কারণ এটা ব্যয়বহুল খেলা। ও বলেছিল, ও চালিয়ে যেতে চায়। আমার সহকর্মী, বন্ধু এবং ওর কোচদের থেকে অনেক সহায়তা পেয়েছি আমি। সে কারণেই বাচ্চাদের বড় করতে পেরেছি।’

প্রসঙ্গত, নয় বছর আগে একবার এক প্র্যাকটিস ম্যাচে সচিন টেন্ডুলকারকেও আউট করেছিলেন অথর্ব। এছাড়া তার ছোট ভাইও ক্রিকেটার। সে খেলে মুম্বাই অনূর্ধ্ব-১৪ দলে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়