শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৯:৫২ সকাল
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৯:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুঁজিবাজার রক্ষায় কারসাজিকারিদের শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আমূল পরিবর্তন অভিমত বিশ্লেষকদের

বেলাল হোসেন : পুঁজিবাজারের ধসের কারণ হলো নতুন ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়া। সাথে সুশাসনের অভাব এবং আস্থার সংকট। এছাড়াও রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতা। এমন মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারিরা। বাজারের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেতৃত্বে বড় ধরণের পরিবর্তন দরকার। পাশাপাশি ব্যবস্থা নিতে হবে কারসাজিকারিদের বিরুদ্ধে। ডিবিসি নিউজ ১৪.০০

১৫ ফ্রেব্রুয়ারি ২০১৮, ঐদিন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ছিল ৬ হাজার ৫০ পয়েন্ট। সেদিন দেশের প্রধান এ পুঁজিবাজারে হাতবদল হয় ১ লাখ ২৩ হাজার ৬শ' ৪২টি শেয়ার। যার বিপরীতে লেনদেন ছিলো ৫১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ঐ দিনের পর পেরিয়ে গেছে ৩শ' ৭৩টি কার্যদিবস। সময়ের হিসেবে ১৯ মাসেও ডিএসই এক্স সূচক আর ৬ হাজারের ঘর স্পর্শ করেনি।

এর মাঝে অসংখ্যবার হয়েছে রেকর্ড। তবে তা কেবলই পতনের। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, তারল্য ও আস্থার সংকট, মানসম্মত আইপিওর অভাবে একে একে বিনিয়োগকারিরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পুঁজিবাজার থেকে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, তারল্য সংকট কেটে গেলেই কি বাজারের অবস্থা ভালো হবে, এতেও সন্দেহ আছে। বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারের উপর আস্থা হারাচ্ছেন। এখন পুঁজিবাজারে এটি অনলাইন ট্রানজেকশনই বেশি হয় এবং প্রত্যেকটি লেনদেন কিন্তু রেকর্ডকৃত। এখন এর কারন তদন্ত করে বের করতে হবে।

এতে যদি উদ্যোক্তা জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন, যদি ব্রোকাররা জড়িত থাকে তাকে শাস্তির আওতায় আনুন। কিন্তু কেবল অভিযোগের আঙ্গুল এদিক সেদিক দিয়ে এর থেকে দায়মুক্তি নেয়া যাবে না।

পুঁজিবাজারের এ মন্দা নতুন কোন বিষয় নয় উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের মতে, বিনিয়োগকারিদের আস্থা ফেরাতে না পারলে পুঁজিবাজার বড় হুমকির মুখে পড়বে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক এম শাহজাহান মিনা বলেন, বিচার না হওয়ার সংস্কৃতিই পুঁজিবাজারে আস্থা না ফিরিয়ে আনার কারণ। বাংলাদেশ ব্যাংক, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন এদেরও ব্যর্থতা আছে, তা তারা অস্বীকার করতে পারবে না। তাদের সবখানেই অদক্ষতা এই অদক্ষতা নিয়ে পুঁজিবাজার চাঙ্গা করা সম্ভব না। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়