রাকিব: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবারের আসরে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে। যেখানে বিবেচনা করা হবে খেলোয়ারড়দের পারিশ্রমিকের পার্থক্যও। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সাথে বিপিএলে খেলোয়াড়দের পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে প্রতিবারই। যে কারনে বিপিএলের গত আসরগুলোর মতো এবারের আসরে পারিশ্রমিকের পার্থক্য খুব বেশী থাকবে না বলে জানিয়েছেন বোর্ডের শীর্ষ কর্তা খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটে এত পার্থক্য এখনো তৈরি হয়নি যে একটা খেলোয়াড় ৩ কোটি পাবে আর আরেকজন ৩০ লাখ পাবে। ঢাকাতেও হয়ত আমরা এমন করেছি। এই টুর্নামেন্টটা এমন হবে যাতে খেলোয়াড়দের টাকার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য থাকবে না। আইপিএলে তাদের দেশি খেলোয়াড়রা অনেক বেশি টাকা পায়। আমাদের নিলাম নেই, ড্রাফট পদ্ধতি আছে। কোনো খেলোয়াড়ের লাভ হচ্ছে বেশি, কোনো খেলোয়াড়ের লাভ হচ্ছে না।’
বিপিএলে মানসম্পন্ন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্ট ক্রিকেটারের সংখ্যা কম বলেও অভিমত অনেকের। তিনিও বললেন, ‘বিসিবির অংশ হিসেবেই বলি- আমাদের মূল ফরম্যাট ওয়ানডে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমাদের একজন খেলোয়াড় কত পারিশ্রমিক পায়? টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তো এখনো নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারিনি। আমাদের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্ট ক্রিকেটার সাকিব ছাড়া তেমন নেই। বিদেশি লিগগুলোতে সাকিব ছাড়া তেমন কেউ যাচ্ছে না।’
সপ্তম বিপিএলের নামকরণ করা হবে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। দলের কাঠামোসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে এবার আসবে পরিবর্তন। সুজন জানালেন, কেমন পরিবর্তন আসতে পারে পারিশ্রমিক বণ্টনের বিষয়টিতে।
তিনি বলেন, ‘যারা প্রিমিয়ার লিগে ৩০ লাখ টাকা পায় তারা বিপিএলে এসে কম পাচ্ছে; ২০-১২-১৮ লাখ টাকা পাচ্ছে। আবার একটা গ্রুপ আছে প্রিমিয়ার লিগে ২০ লাখ পেয়ে বিপিএলে ৮০-৯০ লাখ পাচ্ছে। যদিও চাহিদার একটা কথা আছেই। কিন্তু আমাদের টাকার পরিমাণ বেঁধে দেওয়া উচিৎ। ড্রাফট থেকে একটা মূল্য থাকবে, ক্যাটাগরি করে দিবে গ্রেড অনুযায়ী। ঐ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাবে।
আপনার মতামত লিখুন :