শেখ নাঈমা জাবীন : বছরের পর বছর দখলে থাকায় নালায় পরিণত হয়েছে হবিগঞ্জের খরো স্রোতা খোয়াই নদী। নদীর আশপাশ দখল করে গড়ে উঠেছে সরকারি বেসরকারিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর হবিগঞ্জ শহর থেকে এই নদীর অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। একাত্তর টিভি, ১৬:০০
হবিগঞ্জ শহরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০০ কিলোমিটার প্রস্থের পুরাতন খোয়াই নদী। কিন্তু নদীটির বর্তমান অবস্থা দেখে বোঝার উপায় নেই এক সময় এটি ছিলো খর স্রোতা। স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে নদীর দুই পাড় দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ সব স্থাপনা। শুধু বেসরকারি ভাবেই না, সরকারি ভাবেও নদীটি দখল হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা বলেন, ‘কিছু লোক হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খোয়াই নদীর দু পাশে দোতলা তিনতলা বিল্ডিং করে দখল করে রাখায় এখন পানি যাওয়ার কোনো জায়গাই নেই।’
পরিবেশকর্মীরা বলছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই নদীটি পুনরুদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। পুরাতন খোয়াই নদী যদি দখলমুক্ত হয় তাহলে এই অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূর হবে এবং পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা পাবে।’
এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা জানালেন, সরকারি ভাবেই তাদের স্থাপনা তৈরির জায়গা করে দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, ‘প্রশাসনের সাহায্য সহযোগিতায় আমরা এখানে বৈধভাবে দখলে আছি এবং আমাদের ভূমি শ্রেণী প্রবর্তন করে দীর্ঘমেয়াদের বন্দোবস্ত করে পুনর্বাসনের আবেদন করছি।’
তবে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ খুব শিগগিরি নদী পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি কোনো স্থাপনা যদি ইতোমধ্যে নির্মিত হয়ে থাকে আমরা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টকে আমরা অনুরোধ করবো সেই স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে।’
জেলা প্রশাসক আরো জানান, নদীটি দখলমুক্ত করে ৫টি সেতু নির্মাণ করা সহ মানুষের বিনোদনের জন্য দৃষ্টিনন্দন পার্ক গড়ে তোলা হবে। সম্পাদনা : অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :