শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৪:১৪ সকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৪:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাদের টাকার অভাব নেই, বেঞ্চমার্ক থেকেও ৯২ হাজার কোটি টাকা বেশি আছে, জানালেন অর্থমন্ত্রী

সাইদ রিপন: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমাদের টাকার কোনো অভাব নেই। আমি আপনাদের বলছি, টাকা থাকার একটা বেঞ্চমার্ক আছে। বর্তমানে আমাদের সেই বেঞ্চমার্কের ওপরে ৯২ হাজার কোটি টাকা বেশি আছে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জৌবিদা খেরোয়াস এল্লাওয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের অর্থের সংকট নেই। একটা নিউজপেপার বলেছে, সরকার টাকার অভাবে না কি টাকা খুঁজছে। আমি বলছি, আমাদের কোনো রকম টাকার অভাব নেই। যদি আপনারা কোথাও কোনো ব্যাংকে গিয়ে টাকা না পান, যদি এলসি সেটেলমেন্ট করতে না পারেন, যদি পেমেন্ট না করতে পারেন, তবে আমাকে এসে বলবেন।’

‘সরকার কোথায় টাকা খুঁজছে? সরকার টাকা খুঁজলে কোথা থেকে পাবে? সরকারের টাকা না থাকলে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে? আপনারা কেউ সরকারকে টাকা দেবেন? টাকা তোলার রাস্তাটা কী? সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট বিক্রি করতে হবে, না হলে আমেরিকা যা করে কোয়ান্টিটি বেইজিংয়ের নাম করে টাকা ছাপাতে হবে।’

পুঁজিবাজার পড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা উত্তরণে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। বন্ড মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেটে কাজ করছে। ব্যাংকিং খাতে যে পরামর্শ দেয়ার দরকার, তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। আমরা এগুলো সংশোধনে কাজ করছি।’

পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পুঁজিবাজারে ভালো ভালো কোম্পানি আমরা দেবো। সরকারি যেসব কোম্পানি ভালো করছে, তাদের পুঁজিবাজারে দেয়ার চেষ্টা করবো। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পজিটিভলি আলাপ করেছি। বিশ্বব্যাংক আরও ভালোভাবে উন্নয়ন কাজে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে এটা নির্ভর করে আমাদের ক্যাপাসিটির ওপরে। আমাদের ক্যাপাসিটি আরও বাড়াতে হবে। আমাদের আরও সামনে যেতে হবে।’

‘অর্থনীতিতে যেসব জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি, সেসব জায়গার উন্নয়নেও এগিয়ে আসবে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। এজন্য আমরা অর্থনৈতিকভাবে যেখানে আছি, সেখান থেকে উন্নতি করতে অনেক শক্তি ব্যয় করতে হবে। বিশ্বব্যাংক এক্ষেত্রে আরও বেশি বেশি করে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে করপোরেট সেক্টরের প্রভিডেন্ড ফান্ডগুলোও নিয়ে আসা হবে। এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও সহমত প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে আমাদের অর্থনীতিতে আর্থিক খাতের উপাদান কম। উপাদান কম থাকলে অর্থনীতি ছোট হয়ে যায়। অর্থনীতিকে বেগবান করতে আমাদের অনেক টুলস (উপাদান) দরকার। সে কাজগুলোই করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ড মার্কেটটার প্রকৃতপক্ষেই উন্নয়ন করা হয়নি। এ মার্কেটটার উন্নয়ন করতে হবে। এ মার্কেটে সরকারি-বেসরকারি উভয় সেক্টরই আসবে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন হলে শেয়ারবাজারেরও উন্নয়ন হবে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে বিভিন্ন ফি কমানো হয়েছে। বন্ড মার্কেটকে গতিশীল করতে যা যা করা দরকার, তাই করা হবে। বন্ড মার্কেটকে আমরা উন্নত করবোই। কেননা, বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন হবে। বন্ড মার্কেট এমনভাবে উন্নত করা হবে, যেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করেন। সরকার সব সময় পুঁজিবাজারের সঙ্গে রয়েছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। সরকারের কাজ হচ্ছে পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দেয়া, সেটা আমরা দিয়েছি।’

সাক্ষাৎকালে বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জৌবিদা খেরোয়াস এল্লাওয়া বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে, তা প্রশংসাযোগ্য। বাংলাদেশের ডেট টু জিডিপিও ভাল। এটা একটি সরকারের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নির্দেশ করে। ভালো ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত দরকার। বিশ্বব্যাংক কিছু টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স, রেগুরেটারি রিফর্ম এবং পলিসির উন্নয়নে সহায়তা করবে। বন্ড মাকের্ট ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নে পুরো কাজটাই সমন্বিতভাবে করা হবে।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়