আসিফুজ্জামান পৃথিল : গুজব রটেছিলো রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ব্রেক্সিট বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পার্লামেন্ট স্থগিত করিয়ে নিয়েছিলেন। স্কটিশ আদালত বরিসের পার্লমেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করার পর বরিস জানিয়েছেন, তিনি রানিকে কোন মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেননি। সিএনএন, বিবিসি
ইউকে প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বরিস বলেন, আমি কোনোভাবেই রানীকে ভুল বা মিথ্যা পরামর্শ দেইনি। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের হাইকোর্টও আমাদের সঙ্গে একমত। এখন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিমকোর্টের মত দেবার পালা। আমাদের এখন রানির ভাষণের প্রয়োজন রয়েছে।’ এর আগে বুধবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরের আদলে নিজের ফেসবুক পৃষ্ঠায় জনগনের প্রশ্নের উত্তর দেনব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্কটিশ আদালত তার পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলার পর তিনি লাইভে আসেন।
প্রথম দুটি প্রশ্ন তার সরকারের দুটি নীতিনির্ধারনী বিষয় নিয়ে হলেও তৃতীয় প্রসঙ্গ ছিলো ব্রেক্সিট। সেখানে এক নাগরিক জানতে চেয়েছিলেন জনসন অগণতান্ত্রিক কিনা? ব্রিটিশ নেতা একজন স্বৈরাচার সেটি ব্রিটিশ জনগনের কিভাবে নেয়া উচিৎ? এর জবাবে বরিস বলে, ‘আপনাকে সম্মান জানিয়ে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। আমরা, রাজনীতিবিদরা, পার্লামেন্ট সবাই জনগনের ম্যান্ডেট পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত পরাজয়। জনগন চেয়েছিলো আমরা এটা করি। তাই আমি পার্লামেন্ট স্থগিত করেছি’।
আপনার মতামত লিখুন :