শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৪:১১ সকাল
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৪:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিপন্ন দেশীয় বস্ত্রখাত

ফাহিম আহমেদ : বন্ড সুবিধায় দেশীয় বাজারে বিদেশি সুতা ও কাপড় ঢুকে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে দেশীয় বস্ত্রখাত। প্রায় ৪ শতাধিক স্পিনিং মিলে অবিক্রীত সুতার পরিমাণ ৮ লক্ষাধিক টন যার মূল্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা এবং হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। (১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, দৈনিক যুগান্তর) ব্যবসা অনিশ্চয়তার মুখে থাকায় স্পিনিং ও কাপড়ের মিল মালিকরা ব্যাংক ঋণ ও সুদ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ’র তালিকাভুক্ত বস্ত্রকলের সংখ্যা ১ হাজার ৪৬১টি। ইতোমধ্যে ছোট কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং বড় কারখানাগুলো বন্ধের পথে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তারল্য সংকটে পতিত হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। মিল বন্ধ হলে বাড়বে কর্মসংস্থান ঝুঁকি এবং নষ্ট হবে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক শৃঙ্খলা। বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ খাতে প্রণোদনার পরিমাণ পাঁচ শতাংশ। এই প্রণোদনা প্রাপ্তির জটিলতা অনেক। অনেক ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া যায়। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এখানে বড় একটি বিষয়। ২০১৫ সালে এক কেজি সুতা উৎপাদনে যেখানে খরচ হতো সাত টাকা সেখানে বর্তমান খরচ ২৪ টাকা। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির মূল কারণ ক্রমাগত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি। পূর্বের মূল্যে বিক্রয় করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মিল মালিকরা। ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা জানান, বন্ড সুবিধায় সুতা ও কাপড় এনে যারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ভূমিকা নেয়ার কথা এনবিআর থেকে বলা হয়েছে। পাট শিল্প যেমন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে, তেমনই এখন উদ্যোগ নেয়া না হলে বস্ত্র খাতের পরিণতি সেদিকে যাবে। সূত্র : ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, দৈনিক যুগান্তর।

২০১৯-২০ অর্থবছরের সুতার উপর মূসক বা ভ্যাটের পরিমাণ পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মো. আলী খোকন আশঙ্কা করেন, সুতার উপর ভ্যাট বা মূসক পাঁচ শতাংশ করায় দেশি বস্ত্রখাত হুমকির মুখে পড়বে। পাঁচ লাখ তাঁতি এবং ১১ বিলিয়ন ডলারের স্থানীয় বাজারে বিপর্যয় ঠেকাতে সুতার উপর ভ্যাট দুই শতাংশ করার দাবি জানান তিনি। সূত্র : ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, দৈনিক কালের কণ্ঠ। কারখানা মালিকদের দাবি, প্রণোদনার পরিমাণ আরও দশ শতাংশ বাড়িয়ে মোট পনেরো শতাংশে উপনীত করার এবং প্রণোদনা প্রাপ্তি সহজীকরণ করা। ব্যাংক ঋণ হ্রাসের কথা বলা হলেও সে উদ্যোগ আর নেয়া হয়নি। ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমালে মিল মালিকদের জন্য ঋণ পরিশোধ সহজ হবে। যেসব ক্যাটাগরিতে দেশীয় সুতা উৎপাদন হয় সেসব সুতার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ভারসাম্য অবস্থায় উপনীত হতে পারবে দেশীয় বস্ত্র খাত। বাংলাদেশ সরকারের দেশীয় বস্ত্র খাতের উন্নয়নকল্পে ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করে। আইনে দেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সক্ষমতা অর্জন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ ও আধুনিকায়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়। আশা করি, জাতীয় অর্থনীতিতে দেশীয় বস্ত্রখাতের অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। লেখক : এম. এস. এস . রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়