হ্যাপি আক্তার : আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ক্যাম্পেইনার সাদ মাহাদী বলেছেন, রোহিঙ্গারা শিক্ষাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কারণ তারা নিজেদের দেশে শিক্ষা পায়নি এবং বাংলাদেশে আসার পর তারা যে স্কীকৃত একটি পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে পড়া-শোনা করবে সে সুযোগটিও এখনো পায়নি। এই না পাওয়ার কারণে রোহিঙ্গারা সংঘাতের দিকে চলে যেতে পারে। বিবিসি বাংলা ৭:০০
সাদ মাহাদি বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশু ও কক্সবাজারের স্থানীয় শিশুদের জন্য একটি স্বীকৃত পাঠ্যক্রমের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আন্তর্জতিক দাতা সংস্থাগুলোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ২০১৯ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য আপিল করেছে ৯২০ মিলিয়ন ডলারের। এই ৯২০ মিলিয়ন ডলারের ৬% শিক্ষার জন্য বরা, যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। শিক্ষার জন্য যে ধরণের অবকাঠামো দরকার তা এই বাজেটে সম্ভব নয়। সে জন্য বাজেট বাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য যে সুযোগ সুবিধাগুলো রেখেছে, সেখানে তারা বলছে একটি লার্নিং সেন্টারের কিন্তু তারা একটি স্বীকৃত পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারছে না। কিন্তু সম্পূর্ণ শিক্ষার মাধ্যমে যে স্বীকৃতি পাওয়ার কথা তা তারা পাবে না। এ কারণেই মনে হচ্ছে, এখন যে শিক্ষা ব্যবস্থা আছে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য তা খুবই অপ্রতুল। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :