হ্যাপি আক্তার : ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর জবাব তাদেরকেই দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের মতে, ছাত্রনেতাদের দোষত্রুটি দেখলে অভিভাবক হিসেবে দলের সভাপতি তাদের শাসন করবেন। ডিবিসি নিউজ ৯:০০
তবে, ভুল নিজেদেরই শোধরাতে হবে। নেতারা আরো জানান, ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে এখনি কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে চায় না দল।
শনিবার গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় হঠাৎ করেই ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা ওঠে। এতে, বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার ভাবনার কথাও জানান দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে আসা নানা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে : বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতাদের অপেক্ষায় রেখে দেরিতে উপস্থিত হওয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজে সম্মেলনের ২ মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি দিতে না পারা, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি করার ক্ষেত্রে লেনদেন করা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় প্রকল্পের টেন্ডারে ভাগ বসানো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ছাত্রলীগের নেত্রী হলেন শেখ হাসিনা। তিনি একটি বিষয় বলেছেন, সিলেট থেকে ছাত্রলীগের সভাপতা ও সাধারণ সম্পাদক বিমানে উঠবে, সেই কারণে তারা বিমানবন্দরের সকল নিয়ম ভঙ্গ করবে, রানওয়ে পর্যন্ত চলে যাবে- এটি কাম্য হতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগে কোনো খাদ থাকুক এটা আমরা চাই না। আমাদের নেত্রীও এটা চান না। যে অভিযোগ রয়েছে সেগুলো তামাদেরকেই খণ্ডন করতে হবে। খণ্ডন যদি না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ তো রয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দলের সভানেত্রী আমাদের সকল সংগঠনের অভিভাবক। সেই অভিভাবকই যখন কোনো সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের কারো প্রতি নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন, তার প্রতি ক্ষোভ ও অসন্তষ্টি প্রকাশ করেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয়া আমাদের সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি আরো বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত যে ৪জন নেতা রয়েছেন, তারা প্রয়োজনে বসে আলোচনা করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন এটাই আমাদের ধারণা।
আপাতত ছাত্রলীগ নেতাদের গণভবনে ঢুকতে না দিতে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানাতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :