সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও : এ ঘটনায় সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য অশ্বিনী কুমার বর্মণকে গত সোমবার রাতে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের বিজয় কুমার বর্মণের ছেলে।
অভিযোগ সূত্র জানায়, ২০ দিন আগে জীবন চন্দ্র বর্মণ (২৬) নামের এক ব্যক্তি ওই গৃহবধূকে ভুল বুঝিয়ে শহরে তার এক বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে তাকে আটকে রেখে জীবন ও অশ্বিনী মিলে তার গলায় ছুরি ধরে কাপড় খুলে নগ্ন করে কিছু ছবি ধারণ করে এবং গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে জীবন ও অশ্বিনী গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে গৃহবধূর চিৎকারে তারা ব্যর্থ হয়।
পরে জীবন ও অশ্বিনী মোটরসাইকেলযোগে গৃহবধূকে তার স্বামীর বাড়ির পাশে নামিয়ে দিয়ে বলেন, তোমার স্বামীর কাছ থেকে আমাদের এক লাখ টাকা না দিলে তোমার এই ছবি আমরা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবো। লোকলজ্জার ভয়ে ওই গৃহবধূ তার স্বামীকেও এ ঘটনা জানা যায়নি।
গত ২৫ আগস্ট বিকেলে গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার বাসায় প্রবেশ করে অশ্বিনী কুমার ফের তার কাছে অশ্লীল ছবির বিনিময়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় সেই গৃহবধূ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাৎক্ষণিক তাকে তার স্বামীর গচ্ছিত ২০ হাজার টাকা দেয়। এ সময় দৈহিক সম্পর্ক না করতে হবে ও বাকি টাকার জন্য একই হুমকি দিয়ে যায় ওই ইউপি সদস্য।
বিচলিত হয়ে ওই গৃহবধূ সব ঘটনা তার স্বামীকে জানান। পরে তার স্বামী বিষয়টি এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের জানালে একটি সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে অভিযুক্তরা তাদের অপকর্মের কথা স্বীকার করে আবারও হুমকি দিয়ে বলে আমরা এটা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেব, তোমাদের কিছু করার থাকলে করো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক ব্যক্তি দোষী হলে আদালত ব্যবস্থা নেবেন। সম্পাদনা: সুতীর্থ
আপনার মতামত লিখুন :