রাশিদ রিয়াজ : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ‘ক্রন্দনরত নেকড়ে’ হিসেবে তুলনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, তিনি আসলে যুদ্ধ বাঁধানোর অজুহাত খুঁজছেন। গোপন স্থানে ইরান পারমানবিক বোমা বানাচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছেন নেতানিয়াহু। ইস্ফাহানের দক্ষিণে এই গোপন পারমানবিক বোমা তৈরি হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি গুপ্তচররা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে দাবি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর। তবে এধরনের দাবিকে ভিত্তিহিন অভিহিত করে জারিফ বলেন, পারমানবিক বোমার অধিকারী দেশ হিসেবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পারমানবিক নেকড়ের মতই কাঁদছেন এবং ইরানের সঙ্গে গায়ে পড়ে যুদ্ধ লাগানোর পাঁয়তারা করছেন। মেহর
জারিফ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েলি একমাত্র দেশ যার কাছে পারমানবিক বোমা আছে। ১৯৮৬ সালে দি সানডে টাইমস এক ঐতিহাসিক প্রতিবেদনে জানায় ইসরায়েলের কাছে অন্তত ১শটি পারমানবিক বোমা রয়েছে। বি’ টিমের অংশ হিসেবে নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। জারিফের বক্তব্য অনুযায়ী বি’ টিমের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জন বোল্টন ও আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স বিন জায়েদ। জারি বলেন, নেতানিয়াহু ও বি টিম ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই চায় না। এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের এ ইচ্ছাকে সায় দিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্যএশিয়াকে এধরনের যুদ্ধে ঠেলে দেবার তাদের এ ইচ্ছাকে জারিফ ‘ নো ম্যাটার ইনোসেন্ট ব্লাড এন্ড এ্যানাদার সেভেন ট্রিলিয়ন ডলার। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০০২ সালে ইরাক যুদ্ধ শুরু করার আগে নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে স্মরণ করার তাগিদ দেন। জারিফ প্রশ্ন তুলে বলেন ইরাকে কথিত রাসায়নিক বোমার অজুহাতে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়। এরপর আইএস জঙ্গি ছড়িয়ে দেয়া হয় অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে। কিন্তু এবার ফের যুদ্ধ লাগানোর যে অপচেষ্টা চলছে তাতে তার দেশ নিশ্চুপ হয়ে থাকবে না বলে জানান জারিফ। কারণ ইসরায়েলিরা মধ্যপ্রাচ্যে যে ধংসাত্মক কার্যকলাপ ছড়িয়ে দেয়ার কৌশল নিয়ে আগাচ্ছে তা প্রতিরোধ ও উপযুক্তভাবেই মোকাবেলা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :