শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৭:৪২ সকাল
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৭:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী বললেন, সংসদের ওপর জনগণের আস্থা বেড়েছে

সালেহ্ বিপ্লব : সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সংসদে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে আনীত শোকপ্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অনেক দল অংশ গ্রহণ করেছে। অথচ এই সংসদকে অবৈধ বলেও বিএনপির সদস্যরা শেষ পর্যন্ত সংসদে এসেছে। তিনি এজন্য তাদের সাধুবাদ জানান। বাসস বাংলা

অধিবেশনের শুরুর দিনে যথারীতি শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদসহ বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সুষমা স্বরাজের আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, ভারত-বাংলাদেশের স্থলসীমানা চুক্তির বিলটি তিনিই ভারতের সংসদে উত্থাপন করেন এবং দলমত নির্বিশেষে সব সদস্য এই বিলটি পাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোট দিয়েছে বলেই আমরা সরকার গঠন করে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। গত ১০ বছরে দেশ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছি। বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ভ-ুল করতে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। সে সময় রওশন এরশাদ এগিয়ে আসেন। জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল এবং অন্যান্য কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ নেয়। অনেক বাধা অতিক্রম করে তখন নির্বাচন করতে আমরা সক্ষম হই, যদিও এই নির্বাচন নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেন। নির্বাচনে যদি জনগণের অংশ গ্রহণ না থাকতো তাহলে আমরাতো সরকারে টিকে থাকতে পারতাম না। জনগণ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো এবং ভোট দিয়েছিলো বলেই আমরা ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেনারেল এরশাদের ব্যবহার আচার-আচরণ অনেক অমায়িক ছিলো। মানুষের প্রতি তার দরদ ছিলো। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে জিয়া ক্ষমতায় আসেন। তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণে কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেননি। যেটা জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় এসে করেছেন।

নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে এরশাদের সাথে সংলাপের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় আমাদের ১৪ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা ছিলো। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি তাদের মুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের লালদিঘির ময়দানে জনসভায় গুলি বর্ষণসহ এরশাদের আমলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিভিন্ন অত্যাচার এবং তাঁর নিজের কারাবরণের কথাও উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়