শেখ নাঈমা জাবীন : রোগী সংকট নয়, আসলে অব্যবস্থাপনার কারণেই হাসপাতালে রোগী আসে না বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, এখানে শুধু কিছু জনবল দিয়েই কাজ শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ, দেয়নি চিকিৎসা সরঞ্জাম। অথচ বছরে ৪৬ লাখ টাকার ওষুধের বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে রোগীহীন এই হাসপাতালে। একাত্তর টিভি
৭৫ শয্যার রেলওয়ে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডেই তালা। হাসপাতালের সব বিভাগের জন্যই আছেন নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার। কিন্তু তাদের কোনো কাজ নেই। কারণ হাসপাতালটিতে কোনো রোগী অঅসেন না। তাই বেশিরভাগ সময়ে বন্ধ থাকে জরুরী বিভাগসহ বহির্বিভাগ।
রাজধানীতে যতগুলো হাসপাতাল আছে সেই হাসপাতালোর বেশিরভাগেই রোগীদের এতো ভিড় বা চাপ থাকে এবং হাসপাতালগুলো তাদের সক্ষমতার বাইরে শুশ্রæষা বা চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে দিনের বেলাতেও ভূতুরে পরিবেশ বিরাজ করে। হাসপাতালটির এমন পরিস্থিতি মানতে পারছেন না এখানকার ডাক্তাররাও। তারা চান অন্য সব হাসপাতালের মতো এটিও চিকিৎসা সেবায় প্রানোবন্ত হোক।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তাররা বলছেন, এখানে কাজহীন বসে থাকতে থাকতে তারা ভুলতে বসেছেন চিকিৎসা বিদ্যা। তাই তদবির করে অনেকে বদলি হতে চাইছেন ডাক্তারদের অনেকে।
তবে শুধু ডাক্তার আর কর্মচারী দিয়েই তো চিকিৎসা সেবা হয় না। দরকার আনুষাঙ্গিক আরো অনেক কিছু। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, চিকিৎসার কার্যক্রম শুরুর জন্য হাসপাতালটিতে প্যাথলজিক্যাল বিভাগ, এক্সরে মেশিনসহ সব রকমের চিকিৎসার সরঞ্জাম দরকার। সব সুবিধা নিশ্চিৎ করলেই কেবল রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসবেন।
রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ফিরোজ আলমগীর বলেন, আমাদের রেলের কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ নেই। যারা আসছেন, হেল্থ থেকে আসছে। আমার মনে হয়, হেল্থ’এ থাকলে যে সার্ভিসটা দেন, এখানে সেরকম সার্ভিসটা ওনারা দিতে পাছেন না।
রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের ডিএমও আই এস আব্দুল আহাদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নিজস্ব কিছু নীতিমালা দিয়ে এটিকে ইমপ্রæভ না করলে অর্থাৎ বাজেট না দিলে কোনো ভাবেই আমরা রোগী বাড়াতে পারবো না।
অথচ হাসপাতালটিতে বছরে কেবল বরাদ্দই হয় ৪৬ লাখ টাকা। রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটিকে এখনো উপযোগী করে তোলা হয় নি। সেটি করা হলে এই হাসপাতালেও চিকিৎসার জন্য রোগীর অভাব হতো না। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন, খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :