বেলাল হোসেন : চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রকল্প নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা-সিপিডি। এসব প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশ চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ছে কিনা তাও পর্যালোচনার আহ্বান জানায়। তবে নীতি নির্ধারকরা জানান, জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই এসব প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। দুপুরে রাজধানীতে সিপিডি আয়োজিত এক আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। ইনডিপেন্ডেন্টে টিভি ২২.০০
২০১৬ সালের অক্টোবরে ঢাকা সফর করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। এসময় অবকাঠামো উন্নয়নে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে সম্মত হয় দুদেশ। পদ্মা রেলসেতুসহ বেশকিছু প্রকল্প ছিলো এসব চুক্তির আওতায়।
এসব প্রকল্প চীনের নেয়া সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক উদ্যেগে ‘বেল্ট এন্ড রোড ‘ইনিশিয়েটিভের অংশ। ৬৮ দেশ ও বিশ্বের ৬০ ভাগ জনসংখ্যাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ট্রিলিয়ন ডলারের এ উদ্যোগ। তবে এরই মধ্যে তা সমালোচনার মুখে পড়েছে। বলা হচ্ছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও কেনিয়া এখন চীনা ঋণের ফাঁদে।
অর্থনীতিবিদদের অনেকেই বলছেন, এই ফাঁদ তৈরিতে চীনের ভূমিকা কতটুকু, তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। তবে বাংলাদেশের অবস্থাও সন্তুষ্ট হওয়ার মতো নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে অদক্ষতা ও জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার অভাব এবং প্রকল্পের ম্যাপিং না থাকাকে কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন তারা।
সিপিডি বলছে, বিশ্বব্যাপী এ উদ্যোগের আওতায় নয়ায়নযোগ্য জ্বালানিতে চীন বেশি বিনিয়োগ করেছে। অথচ বাংলাদেশে এসেছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন। সম্পাদনা : রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :