তাসকিনা ইয়াসমিন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেছেন, রোগীদের কল্যাণ ও প্রকৃত জ্ঞান অর্জনে গবেষণা করতে হবে সততা, আন্তরিকতা ও যথাযথভাবে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের জার্নালে গবেষণা কর্মটি প্রকাশের সবগুলো ধাপ ও প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে শিখতে ও জানতে হবে।
শনিবার সকালে শহীদ ডা. মিলন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমডি, এমএস, এমপিএইচ কোর্সে মনোনীত রেসিডেন্ট ও ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণার জন্য থিসিস গ্র্যান্ট প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফান্ড থেকে এই থিসিস গ্র্যান্ট দেয়া হয়। এ বছর মেডিসিন অনুষদের ৬২ জন, সর্জারি অনুষদের ৯২ জন, শিশু অনুষদের ২৭ জন, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ৪৬ জন, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ১৪ জন এবং ডেন্টাল অনুষদের ২২ জনসহ ৬টি অনুষদের মোট ২৬৩ জন মনোনীত রেসিডেন্ট ও ছাত্র-ছাত্রীদের থিসিস গ্র্যান্ট দেয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, গবেষণার কাজটিও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে হবে। গবেষণাকর্মটি হতে হবে ইনডেপথ ও বিশ্বাসযোগ্য। যা রোগী ও মানুষের কল্যাণে যেমন কাজে লাগবে তেমনি নিজের জ্ঞানভাণ্ডারকেও সমৃদ্ধ করবে। ছাত্র যদি সত্যিাকার অর্থেই কিছু না শিখে যায়, তবে শিক্ষকের কষ্ট লাগে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ^বিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার (জনসংযোগ) প্রশান্ত কুমার মজুমদার জানান, সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, একটা সময়ে গবেষণা বা থিসিস গ্র্যান্টের কোনো অর্থ বরাদ্দ ছিল না। এখন দিন বদল হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে। গবেষণার বাজেট এনে তা ভাগ করে নিলেই হবে না। সত্যিকার অর্থেই রোগী ও মানুষের কল্যাণে প্রয়োজন, এমন ইনোভেটিভ গবেষণা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :