হ্যাপি আক্তার : শ্রম গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এর পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন বলেন, শ্রমআইনে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় গৃহশ্রমিকরা এখন পর্যন্ত সংঘবদ্ধ হতে পারেনি। যার কারণে সংগঠন করার অধিকার গৃহশ্রমিকদের সেটা তেমন প্রতিষ্ঠিত না। গৃহশ্রমিকদের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা প্রায় ৩২টি সংগঠন ২০০৬ সাল থেকে কাজ করছি। বিবিবি বাংলা ৭:০০
নাজমা ইয়াসমিন বলেন, গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেটওয়ার্ক নামক একটি সংগঠন ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবিনামা দিয়ে ছিলাম গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে। কিন্তু পরবর্তীতে আলোচনায় সেটা হয়েছে এই মুহূর্তে তাদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা লম্বা প্রক্রিয়া। যার জন্য ২০১৫ সালে 'গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণনীতি, নীতিমালা হয়। এটি নীতিমালা হলেও এটি নীতিমালার এক ধাপ ওপরে। এই নীতিমালাটি আইনে বাস্তবায়নের জন্য সকলেই কাজ করছি।
গবেষণার কথা উল্লেখ করে নাজমা ইয়াসমিন বলেন, গৃহশ্রমিকদের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপরে ২০০৬ সালে ‘বিলস’ একটি গবেষণা করেছিলো। সে গবেষণায় দেখা গেছে তাদের প্রথমে যদি কর্মঘণ্টা দিয়ে শুরু করা হয় তাহলে, তাদের লম্বা সময় কাজ করতে হয় এবং তাদের যে পারিশ্রমিক দেয়া হয় তাতেও পার্থক্য দেখা গেছে। বিশেষ করে বারিধারা, বনানী, ধানমন্ডি এবং মোহাম্মদপুরের চারটি জুনে দেখা গেছে পারিশ্রমিকের মধ্যে বৈষম্য আছে।
তিনি বলেন, গৃহশ্রমিকরা নিজের অধিকার সম্পর্কে তেমন সচেতন ছিলেন না। তবে এখন তার কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেছে। বিশেষ করে যারা খণ্ডকালীন কাজ করে তারা তাদের মধ্যে অধিকারের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। তবে যারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন তারা অধিকারের বিষয় সচেতন থাকলে, অধিকারের বিষয়ে কথা বলতে পারে না। সম্পাদনা : রাজু আহসান
আপনার মতামত লিখুন :