শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:২১ রাত
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনা বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত জার্মানি, চীন সফরের শুরুতেই লি কেকিয়াংকে জানালেন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

নূর মাজিদ : চীনা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের জন্য জার্মানির বাজারে কোন বাঁধা নেই। বরং দেশটি এই বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে সবসময় প্রস্তুত। গতকাল শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন এসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংকে এই আশ্বাস দিয়েছেন। বিশেষ করে, জার্মানির অর্থনীতির কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো চীনা বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত বলেও জানান তিনি। খবর : ব্লুমবার্গ।

কেকিয়াংকে এমন আশ্বাস দেয়ার সময় মার্কেল চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সংঘাত নিরসনের আহ্বানও জানিয়েছেন। এসময় চীনা প্রধানমন্ত্রী জার্মানি বিশেষ কিছু পণ্যের আমদানি নীতিমালা শিথিল করে আরো বেশি সংখ্যায় চীনা কো¤পানিগুলোকে ব্যবসা করার সুযোগ দেবে, এমন আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে জার্মান চ্যান্সেলরের সাম্প্রতিক সফর বিভিন্ন দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। সফরের মাধ্যমে মার্কেল যেসব লক্ষ্য অর্জন করতে চান সেটাও বেশ জটিল। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে জার্মানি চীনের প্রতি কঠোর অবস্থান ধরে রাখতে চায়, তবে একইসঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতের নিরসন জার্মান স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সংঘাত নিষ্পত্তি হলে, চীনে জার্মানির শিল্পপণ্য এবং ভারী যন্ত্রপাতি রপ্তানিও বাড়বে। বিগত দুই দশকে একমাত্র জার্মানিই চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত অর্জন করেছে। তবে বিগত কয়েক বছরে বাকি বিশ্বের মতো জার্মানির সঙ্গেও বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত অর্জন করে চীন। গত অর্থবছরেও এই ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম হয়নি।

গত ফেব্রæয়ারিতে জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত বাণিজ্যিক তথ্যে দেখা যায়, ওই সময় দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মোট আকার ছিলো ১৯ হাজার ৯৩০ কোটি ইউরো। এসময় চীন মোট ১০ হাজার ৬২০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, আমদানি করে ৯ হাজার ৩১০ কোটি ডলারের জার্মান পণ্য। অর্থাৎ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিলো খুবই ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে। ফলে জার্মান অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য চীনের আর্থিক উন্নতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চলতি সফরে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হয়ে বাণিজ্য আলোচনার ইস্যুতে চীনের অনমনীয় অবস্থান পরিবর্তন করতেও মার্কেল গোপনে চাপ সৃষ্টি করতে পারেন। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এমনটি হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে, বলেই মনে করেন। এছাড়াও, চীনের আকর্ষণীয় বাজারে জার্মান কো¤পানিগুলোর বাজার অংশীদারিত্ব আরো বাড়াতে চান তিনি। স¤পাদনা : আবুল বাশার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়