শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:১২ সকাল
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিটাককে নতুন করে সাজানোই আমার মূল লক্ষ্য, বললেন মহাপরিচালক ড. মফিজুর রহমান

রমজান আলী : দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে শিল্পখাত। তাই দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)। এ লক্ষ্যে দেশের অসহায়, দরিদ্র, স্বল্প শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিভিন্ন বিভাগে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়ার মধ্য দিয়ে তরুণ জনশক্তিকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলছে। অনেককে আবার চাকরির ব্যবস্থাও করে দেয় বিটাক। কেউ কেউ বিটাক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তাও হচ্ছে। সবমিলিয়ে তরুণ প্রজন্মকে কার্যকর প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলে প্রতিষ্ঠানটি।

বিটাক মহাপরিচালক ড. মফিজুর রহমান বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার ঘরে ঘরে চাকরির দেয়ার কথা ঘোষণা করেন। এর বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্যবিমোচন (Self-Employment and Poverty Alliviation) সেপা প্রকল্প শুরু করে।

বিটাকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী এমন প্রশ্নে ড. মফিজুর রহমান বলেন, বিটাককে একটি নতুন বিটাকে রূপান্তর করাই আমার মূল লক্ষ্য। বিটাক হবে সেন্টার অব এক্সিলেন্স। দোলাইখাল ভিত্তিক লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরকে একটি অত্যাধুনিক সেক্টরে রূপান্তর করার জন্য বিটাক নতুন করে উদ্যোগ নিচ্ছে। বিশেষ করে তাদের উৎপাদিত মেশিন পার্টসের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য হিট ট্রিটমেন্ট সহায়তা প্রদান, তাদের কর্মীদেরকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিটাকের টুল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে তাদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিটাককে শক্তিশালী করার জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সবুজ পাতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে বিটাকের সব কেন্দ্রের জন্য অত্যাধুনিক মেশিনারিজ সংগ্রহ করা হবে, সিএনসি মেশিন যুক্ত করা হবে, নতুন ওয়ার্কশপ তৈরি করা হবে। বিটাকের অভ্যন্তরীণ কর্মীদের বেশি বেশি করে বিদেশে ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা না হলে বিটাক নতুন বিটাক তথা সেন্টার অব এক্সিলেন্সে রূপান্তরিত হতে পারবে না।

তিনি বলেনর, কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য আমদানি বিকল্প মেশিন পার্টস উৎপাদন এবং শিল্পক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি আহরণ ও হস্তান্তরসহ শিল্পখাতকে পরামর্শ প্রদান করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

তিনি বলেন, তিনি জানান, বিটাকের আধুনিয়াকনে আরো ৬টি নতুন কেন্দ্র চালু করতেছি। প্রতিটি বিভাগে একটি কেন্দ্র নির্মাণের অংশ হিসেবে আরও ৪টি কেন্দ্র নির্মিত হবে। সেগুলো হবে বরিশাল, রংপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু শিল্পপার্কে এবং যশোরে চালু করা হবে এগুলো।
তিনি বলেন এছাড়া শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ প্রদান, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের নকশা প্রণয়ন ও সেগুলো তৈরি-মেরামত করে দেশের শিল্পায়নে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এসএমই সেক্টরে বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে শিল্প সেক্টরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে বিটাক।

আপনি জয়েন্ট করার পর দুটো নিয়োগ ৫৪ জনকে চাকরি দিয়েছেন জানতে পেরেছি, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যা, আমি জয়েন্ট করার পর দুটো নিয়োগে ৫৪ জনকে চাকরি দিয়েছে। তা শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তার সময়ে নিয়োগ নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন যাতে না উঠে সেজন্য তিনি যোগদানের পর থেকেই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা বিটাকের বাইরের তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে সম্পন্ন করিয়েছেন এবং কোনো ধরনের তদবিরকে প্রশ্রয় না দেয়ার নীতি গ্রহণ করেছেন। ফলে গত নভেম্বর মাসের নিয়োগ পরীক্ষার সময় বিটাকের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে প্রচন্ড চাপ থাকা সত্ত্বেও তিনি এতে কর্ণপাত করেননি। ঠিক একইভাবে এবারের নিয়োগেও সে নিয়ম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

নারীদের জন্য বিটাকের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে ড. মফিজুর রহমান বলেন, বিটাকের কেবলমাত্র ঢাকা কেন্দ্রে নারী হোস্টেল রয়েছে বিধায় নারী প্রশিক্ষণার্থীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ পরিবেশে ঢাকা কেন্দ্রের নারী হোস্টেলে অবস্থান করে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। অন্যান্য কেন্দ্রে নারী হোস্টেল না থাকায় সেসব কেন্দ্রে শুধু যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। নারী হোস্টেলটি মহিলা আনসার সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত, পুরুষ মানুষের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। অর্থাৎ অত্যন্ত চমৎকার পরিবেশে নারী প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়