শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৪:৪২ সকাল
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৪:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় আবারও সময় ও ব্যয় বাড়াতে তোড়জোড়

সাইদ রিপন : অব্যবস্থাপনা ও ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় সময় মতো শেষ হচ্ছে না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ।চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি সমাপ্ত হওয়ার করা রয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ৭০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এটি ২০১৭ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে বাস্তবায়নের সময় ঠিক রেখে এক লাফে ব্যয় বাড়িয়ে ১৬০ কোটি ৬১ লাখ টাকায় প্রথম সংশোধন করা হয়। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শেষ সময়ে এসে আবারও ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করতে তোড়জোড় শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রকল্প দলিলে অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য ১০ একর এবং সেনাবাহিনীর ডেমোলিশন গ্রাউন্ড স্থানান্তরের জন্য ১২ একর ভূমি অধিগ্রহণের সংস্থান রয়েছে।এর মধ্যে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ৮ দশমিক ৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বাকি ১৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ এখনো সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, চলমান এ প্রকল্পের অনুমোদিত সড়কের একাংশ অন্য প্রকল্প থেকে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যেটার ব্যয় বাবদ টাকা বরাদ্দ থাকলেও প্রকল্পের প্রথম সংশোধনীতে বাদ দেয়া হয়নি। এছাড়া আর্থিক অগ্রগতির চেয়ে বাস্তব অগ্রগতি কম হয়েছে।বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের দুটি প্যাকেজর অগ্রগতি যথাক্রমে ৪০ শতাংশ এবং ৬০ শতাংশ হলেও অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে ৯৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মিহির কান্তি দে বলেন, প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণের সময় জমির দাম বেড়ে গিয়েছিল। যার জন্য প্রকল্পটি প্রথম সংশোধন করতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২২ একর ভূমির মধ্যে ৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পটির সঙ্গে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার জড়িত থাকার কারণে বাকি ১৪ একর ভূমি এখনও অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্পের একাংশ অন্য প্রকল্পে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, কিন্তু এ অংশের সড়কের জন্য বরাদ্দের টাকা প্রথম সংশোধনীতে বাদ দেয়া হয়নি কেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম সংশোধনীতে বিষয়টি নজরে আসেনি। দ্বিতীয় সংশোধনীতে বাস্তবায়ন হওয়া সড়কের বরাদ্দের টাকা বাদ দেয়া হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, এ প্রকল্পটির ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল। যার ফলেই হয়তো প্রকল্প বাস্তবায়নে বার বার সময় ও ব্যয় বাড়ছে।

সম্পাদনা: রমাপ্রসাদ বাবু/সারোয়ার জাহান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়