তাসকিনা ইয়াসমিন : এম এইচ শমরিতা হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল কলেজের সিনিয়র টেকনোলজিস্ট ও বেকার এন্ড প্রাইভেঠ সার্ভিসেস মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি এম এইচ হাবীব বলেছেন, একজন চিকিৎসক রোগীর রোগের বিবরন শুনে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। সেবক, সেবিকা, চিকিৎসক এর ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীকে সেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু একজন অসুস্থ্য রোগীর বিভিন্ন রকম নমুনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন কোন পেশার লোক? কখনও কি ভেবেছেন?
ধরা যাক, আপনার কোন নিকট আত্মীয় অসুস্থ্য হয়ে দেশের সনামধন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল/ডায়াগনস্টিক/ল্যাবরেটরী কিংবা সরকারি হাসপাতালে কিছু টেস্টের জন্য প্যাথলজি বিভাগে গেলেন এবং টেস্টের নমুনা দিলেন ও নির্দিষ্ট সময়ের পর রিপোর্টিং সংগ্রহ করলেন! এখন প্রশ্ন হলো! কে বা কারা এই টেস্ট রিপোর্টের সাথে সংযুক্ত? তিনি বলেন, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, চলমান ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে আপনারা কেবল ডাক্তার ও নার্সদের নিয়ে রিপোর্ট করেছেন, এতে দেশের সকল মেডিকেল টেকনোলজিস্টগহণ আহত ও ব্যথিত। যাদের মাধ্যমে দেশেল প্রতিটি সরকারী, বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিনিয়তই ডেঙ্গুসহ অন্যান্যা বিভিন্ন রকম জটিল রোগ সনাক্ত হচ্ছে সেই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পেশা নিয়ে কোন রিপোর্ট করলেন না। কিন্তু কেন এই বৈষম্যতা?
যেখানে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে কাজের চাপে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দিনরাত যখন একাকার অবস্থা, ঠিক তখন প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কেবল ডাক্তার ও নার্সদের ডেঙ্গু কার্যক্রমের কর্ম ব্যস্ততার চিত্রায়িত রিপোর্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকলেন! আফসোস এই অবহেলিত মেডিকিল টেকনোলজিস্ট পেশাটি নিয়ে কোন প্রিন্ট কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কোন সাংবাদিক বন্ধু একটিও রিপোর্ট করল না!
আপনার মতামত লিখুন :