আরিফুল ইসলাম সুমন, সরাইল :কানুনগো ও সার্ভেয়ারের কক্ষে লাইট জ্বলছে, ফ্যান ঘুরছে। একই অবস্থা পাশেই অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটরসহ অন্যান্য কর্মচারীদের বসার কক্ষটিতেও। এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কক্ষে তালা ঝুলছে। দফতরের 'নাজির' এর কক্ষও তালাবদ্ধ। বারান্দায় এককোণে একটি কক্ষে বসে একজন লোক একটি ফাইল ঘেঁটে বিভিন্ন কাগজপত্র বের করে দেখছেন ও তা অন্য কাগজে লিপিবদ্ধ করছেন। তবে তিনি পরিচয় দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। দফতরের লোকজন কোথায় জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কক্ষ দেখিয়ে বলেন, সেখানে যোগাযোগ করেন। সেই কক্ষে গিয়ে দেখা মিললো দুইজন কর্মচারীর।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এমন দৃশ্যই দেখা গেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা ভূমি অফিসে।
এ দফতরের চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রায় দিনই দুপুরের পর এ দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকেন না। যেইদিন কাজের চাপ থাকে সেইদিন ৫টা পর্যন্ত মোটামুটি সবাই থাকেন। আর আজ বৃহস্পতিবার তাই সকলেই তাড়াতাড়ি চলে গেছেন। জনশূন্য দফতরগুলোতে ফ্যান ঘুরছে লাইট জ্বলছে ও এ কক্ষে কম্পিউটার চালু রাখার কারণ জানতে চাইলে সেই কর্মচারী জানান, "বুঝলেন না, এসব চালু থাকলে কেউ আসলে মনে করবে দফতরে লোকজন আছে।" বিকেল পাঁচ'টার পর আমরা চলে যাওয়ার সময় হলে এসব বন্ধ করে কক্ষগুলো তালা দিয়ে যাবো।
এদিকে সাড়ে ৩টার দিকে এই দফতরের পাশেই সদর ইউপি ভূমি অফিস থেকে বের হয়ে আসলেন উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, এসিল্যান্ড স্যার একমাসের জন্য ট্রেনিং এ গেছেন। সার্ভেয়ার ইব্রাহিম খান কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলায় বদলি হয়েছেন। আজই ছিল তাঁর সরাইল কর্মস্থলের শেষ অফিস।
অপরদিকে এই দফতরের বাইরে ৪/৫জন লোক দুপুর থেকে অপেক্ষা করছেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কাছে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা জানান, প্রায় দুইমাস যাবত ঘুরিতেছি 'নামজারি খারিজ' এর জন্য। এই হয়রানি আর সহ্য হচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :