শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:১৬ রাত
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙছে ডিএনসিসি

সুজিৎ নন্দী: ঝুঁকিপূর্ণ ছয়টি মার্কেট ও একটি বাস টার্মিনাল ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তবে অধিকাংশ মার্কেটে এখনো দোকানপাট আছে, ব্যবসা চলছে। ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করে ভবন ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। সে সময় সেগুলো ভাঙার কোনো উদ্যোগ না নিলেও আগামী মাস থেকে সবকটি ভবন ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি।

ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা মার্কেটগুলো হলো- গুলশান ১ নম্বরের পাকা মার্কেট (দক্ষিণ), গুলশান ২ নম্বরের কাঁচা মার্কেট (উত্তর), মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, রায়েরবাজার মার্কেট এবং কারওয়ানবাজার মার্কেটের চারটি ভবন। এছাড়া আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনাল ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এত বছরে ভবনগুলো আরও জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। দেয়াল-ছাদ খসে পড়ছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই প্রক্রিয়া শেষ হতে কতো সময় লাগতে পারে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, মার্কেটগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো পরিত্যক্ত ভবনের ব্যানার লাগিয়ে দেয়া হবে। এ নিয়ে কাজ করছে রাজস্ব বিভাগ। তবে এই ভবনগুলো শিগগিরই ভেঙে ফেলা হবে। প্রত্যেকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বিকল্প ব্যবস্থা করে এবং নতুন জায়গায় স্থানান্তর করা হবে।

ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ জানায়, গুলশান ২ নম্বরের কাঁচা মার্কেটের নিচতলার মাছ ও মাংসের বাজারের অংশটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এই অংশ দ্রুত ভাঙার সুপারিশ করা হয়েছে। গুলশান ১ নম্বরের পাকা মার্কেটে ২০১৭ সালে আগুন লাগার পর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মার্কেটটি ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। সে সময় এটি ভেঙে ফেলা অথবা সংস্কার করার সুপারিশ করে কমিটি। এই বাজার সংলগ্ন দ্বিতল পাকা মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। ইতোপূর্বে ডিএনসিসির সভায় ভবনটি দ্রুত পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, ‘কয়েকদিন আগে মার্কেট ভবনগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সামনে বিজ্ঞপ্তি ও বড় ব্যানার টাঙানোর কাজ শুরু করবো।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, কারওয়ানবাজার কিচেন মার্কেটের তিনতলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেই চালু আছে। কারওয়ানবাজার ১ নম্বর ভবন মার্কেটটি তিনতলা। এটিও পরিত্যক্ত ঘোষণার সুপারিশ করেছিলো বুয়েট। সেখানে দ্বিতল আরেকটি মার্কেট ও আড়ত ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে ভবনগুলোর দেয়ালের অংশবিশেষ খসে পড়েছে কোথাও কোথাও।

সম্পত্তি বিভাগ সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেই ব্যবসা চলছে। এ মাসেই এ মার্কেটের দোতলা ও সিঁড়ি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আর রায়েরবাজারের দ্বিতল মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ও অব্যবহৃত। আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনাল ভবনটি টার্মিনালের অফিস ও বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই ভবনটিও ব্যবহারের অনুপযোগী।সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়