মোস্তফা কামাল : বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে স্পষ্ট করে বলে গেছেন যে, ‘আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে উদ্ভুত সমস্যাটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এতে বাংলাদেশের চিন্তার কোনো কারণ নেই’।
আমি বলবো, আপাতত নেই, তবে শিঘ্রই হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সরকার বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের অফিসিয়াল বক্তব্য মেনে নিয়েছে, অবশ্য মেনে না নিয়েও উপায় নেই, এটাই বন্ধুরাষ্ট্র নীতির প্রটোকল। তবে সরকারের উচিত এখনই এই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা শুরু করা, এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী কী হতে পারে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অবস্থান ও যুক্তি কী হতে পারে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার একটা মোকাবিলা প্ল্যান তৈরি রাখা। সরকারের প্রথমেই একটা কাজ করা উচিত , সেটা হলো বন্ধুরাষ্ট্র ভারতকে অফিসিয়াল চ্যানেলে জানানো যে, ঠিক আছে আমরা তোমাদের অফিসিয়াল বক্তব্য গ্রহণ করলাম, তাহলে তোমরা একটা জিনিস এখন নিশ্চিত করো যে, কোনো দায়িত্বশীল বিজেপি নেতা মন্ত্রী যেন এই বিষয়ে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে কোনো বক্তব্য না দেয়।
যদি কোনো বিজেপি নেতা মন্ত্রী এই ব্যাপারে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে বক্তব্য দেয়, তাহলে সেটার পেপার কাটিংসহ অফিসিয়াল প্রতিবাদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতে নিয়মিত পাঠানোর ব্যাবস্থা করা উচিত। এটা পরিষ্কার , ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শংকর রায়ের বক্তব্যের সঙ্গে বিজেপি নেতা অমিত শাহ বা আসামের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :