শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষার জন্য শেখ হাসিনার বাইরে আর কাউকে দেখছি না

মুনশি জাকির হোসেন : ভারতের বিরোধিতা করার শতশত যৌক্তিক কারণ আছে, এগুলো কোনোটি রাজনৈতিক, কোনোটি অর্থনৈতিক, কোনোটি কূটনৈতিক, কোনোটি সামাজিক। ভারতের বিরোধিতার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার বঙ্গবন্ধুর মতো দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও অনেক দেশে এখনো সেনা ছাউনি আছে সেখানে বঙ্গবন্ধু ৩ মাসের মধ্যেই ভারতীয় সেনা ফেরত পাঠাতে পেরেছিলেন! মুজিব-ইন্দ্রিরা ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তিকে বাংলাদেশের আওয়ামীবিরোধী চক্র গোলামী চুক্তি বললেও ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সেই চুক্তি রদ করার সাহস কোনো সরকার/রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেখাতে পারেনি। মূলত ওই চুক্তির সমালোচনা ছিলো অনর্থক।

ভারত-বাংলাদেশ সমস্যার শুরু পঁচাত্তরের পরে, দশকের পর দশক সেটি আরও অবনতি হয়েছে, এগুলোর জন্য ৭৫-১৯৯৬ পর্যন্ত সকল সরকার দায়ী। বর্তমান বাংলাদেশে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষার জন্য শেখ হাসিনার বাইরে আর কাউকে দেখছি না। শেখ হাসিনা যদি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা করতে না পারেন তাহলে আর কেউ পারবেন না। শান্তিচুক্তি, ছিট মহল সমস্যা, সমুদ্রসীমা মামলা এসব বিষয় শেখ হাসিনার একক রাজনৈতিক সফলতা। সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা এক সময়ে বছরে ৭০০ হতো, এখন বছরে ২০-এ নেমে এসেছে, (সীমান্ত হত্যা কেন শুরু হলো, কবে শুরু হলো, অতীতে কারা দায়ী, বর্তমানে কারা দায়ী, সেসব নিয়ে আলাদা বিস্তর আলোচনা আছে।) ১৯৯৬-২০০১ সালে শেখ হাসিনা ভারতে গিয়েছিলো গঙ্গা পানি চুক্তি করার জন্য! শেখ হাসিনা মজা করে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ যতোদিন ক্ষমতায় থাকবে গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ ততোদিন, ২০০১ সাল পর্যন্ত! আবার ক্ষমতায় আসলে আবার নবায়ন করবে! এর জবাবে, বিএনপি কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলো। বিএনপি বলা শুরু করলো, আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থ দেখে না, দলের স্বার্থ দেখে। আসলে বিএনপি জানতো, এই পানি চুক্তি বিএনপি কেন, আর কেউই করতে পারবে না। এই কারণে, ১৯৯১-৯৬ সালে খালেদা জিয়া ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে পানি সমস্যার কী হলো? এই প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, এই বিষয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলাম! ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়