শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাঙালি হিন্দুরা চিন্তার জগতেও রিফিউজি

বিপ্লব পাল : আসামে এনআরসিতে অ্যাফেক্টেড ১৬ লাখ বাঙালি হিন্দু, ২ লাখ বাঙালি মুসলিম। ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার, উড়িষ্যা-বাঙালি সর্বত্রই ছিলো গত চারশো বছর ধরে। আসামের এই হিন্দু বাঙালিরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং দুর্বল অর্থনীতির চাপে ভারতে এসেছিলো। এখন এরা রাজনীতির কর্ক শাটল। সবাই এদেরকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে। বাঙালি মুসলমানরাতো নিজেদের দেশ পেয়ে গেছে। বাংলাদেশ তাদের বাঁচাবে। বাঙালি হিন্দুদের অবস্থা না ঘরকা, না ঘাটকা।

এরপর আবার মাছভাত এবং মার্ক্সবাদের মধ্যে পার্থক্য করার মতন ঘটে বিদ্যাবুদ্ধি না থাকা সত্ত্বেও -হিন্দু বাঙালি দীর্ঘদিন বামরসে এখন রামরসে মজেছে। এদিকে পায়ের তলার মাটি এদের প্রতিদিনই আলগা হয়েছে। এতোই কালিদাস মার্কাচিন্তা ভাবনা এদের। ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ দুর্বল হলে এই হবে। বৃটিশ আমলে কোনো বাঙালি ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদি আন্দোলন গড়ে ওঠেনি-কৃষকদের পার্টি, হিন্দুমহাসভা, মুসলিম লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি সব ছিলো বৃটিশ বেঙ্গল প্রভিন্সে কিন্ত বৃটিশ ভারতে কোনো বাঙালি জাতীয়তাবাদি আন্দোলন হয়নি। অর্থাৎ বাঙালি হিন্দু, মুসলমান, গান্ধীবাদি সুভাস বাদি কংগ্রেসী, কমিউনিস্ট সবকিছুতেই গর্বিত হয়েছে, তাই নিয়ে আন্দোলন করেছে কিন্ত বাঙালী হতেই যতো লজ্জা। সুতরাং এদের বাঁচাবে কে? ইতিহাস ক্ষমা করবে কেন?

১৯৫১ সাল থেকেই মুসলিম বাঙালিরা নিজেদের বাঙালি সত্ত্বার গুরুত্ব বুঝে আন্দোলনে নামে- এবং যার ফলে ১৯৭১ সালে তারা নিজেদের ভূখ- পায়। এদিকে আমাদের বুদ্ধিমান, অতি বুদ্ধিমান সাংস্কৃতি গজজারু বাঙালিহিন্দু নেতারা কংগ্রেস এবং সিপিএমের জমানায় দিল্লীর আঙ্গুলিহেলনে একের পর এক আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে বাঙালি হিন্দুর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভবিষ্যত আরো ডুবিয়েছে। কোনো সামরিক চরিত্র না থাকায়, বাঙালি হিন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান চিরকালই ভৃত্যসুলভ। সেদিক দিয়ে মমতা ব্যানার্জির হাতে সুযোগ ছিলো বাঙালি হিন্দুর নতুন রাজ্য গড়ার। তিনি পালস বুঝতে ভুল করে পশ্চিম বঙ্গকে বাংলাদেশ-২ বানাতে গিয়েছিলেন। প্রায় দায়িত্ব নিয়ে তিনি বাঙালি হিন্দুভোট বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন। বাঙালি হিন্দুরা শুধু ভৌগলিক রিফিউজিই না, চিন্তার জগতেও তারা রিফিউজি। কোনো স্পাইন নেই, দিশা নেই, কচুরিপানার মতন জল যেখানে ঠেকে-সেখানেই তার বাস এখন। এদের নেতা নেই। একটা জাতি যদি সামরিক শিক্ষা বিহীন হয়, তার এই হালই হবে। যুগে যুগে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়