শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:০২ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মীর কাসেম আলী ছিলেন সম্পূর্ণ নির্দোষ, বললেন জামায়াতের আমীর

রফিক আহমেদ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ বলেছেন, মীর কাসেম আলী ছিলেন সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি এ দেশে ইসলামী সমাজ গড়ার আন্দোলনে তার অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান।

জামায়াতের আমীর জানান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট ইসলামী অর্থনীতিবিদ মীর কাসেম আলীকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় দন্ডিত করে বর্তমান সরকার কর্তৃক ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুঁলিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। শহীদ মীর কাসেম আলী ছাত্র জীবন থেকেই এ দেশে কল্যাণধর্মী একটি ইসলামী সমাজ কায়েমের জন্য সংগ্রাম করে গিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ইসলামী ব্যাংক-বীমাসহ বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণেই সরকার তাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি জানান, শহীদ মীর কাসেম আলীকে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সরকার পক্ষ তার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলোর সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শহীদ মীর কাসেম আলীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার অত্যন্ত নির্মম ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় ফাঁসি দিয়ে তাকে হত্যা করেছে। সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তারই অংশ হিসেবে তাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুঁলিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকধারী এক দল লোক ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট রাতে শহীদ মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। ব্যারিস্টার আরমান তার পিতার আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা সরকারের নিষ্ঠুর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়