শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৫:৫৮ সকাল
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৫:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভিন্নদলের-ভিন্নমতের মানুষকে বঙ্গভবনে ডেকে পরামর্শ নিতেন জিয়াউর রহমান

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পথ চলার শুরু থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয় বিএনপি সমর্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক, সিনেট সদস্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম এর সাথে। এসময় তিনি আলাপের এক পর্যায়ে বর্তমান গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন,‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উনি দেশের ট্যালেন্ট লোকগুলোকে খুঁজে খুঁজে বের করেছেন, ভিন্নমতের লোকগুলোকে তিনি বঙ্গভবনে দাওয়াত দিয়ে ডেকে পরামর্শ নিতেন। কিন্তু এখন কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই গুম-খুনের শিকার হতে হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ রোববার। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দলটির যাত্রা শুরু হয়। তখনকার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। জিয়াউর রহমানকে হত্যার পরও তিনবার ক্ষমতায় আসে দলটি। তবে ২০০৭ সালে ১/১১’র পরে বিএনপি বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে যায়। সেই থেকে আজও পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিএনপি নিজেকে দাঁড় করাতে হিমসিম খাচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে জেলে রয়েছেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বিএনপি কতটুকু ভূমিকা পালন করছে? জানতে চাইলে ড.এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন,‘বিএনপি তার অবস্থান থেকে চেষ্টা করছে। এখানে দু-তিনটা ইস্যু কাজ করে। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার মুক্তি যদি শুধুমাত্র আদালত নির্ভর হতো তাহলে হয়ত বলতাম আদালতের ব্যাপার হয়ে যাবে। আসলে আদালতের ব্যাপার না। এটি রাজনৈতিক ব্যাপার। আরও যদি স্পেসিকভাবে বলি একমাত্র শেখ হাসিনার উপর নির্ভর করে।’

বিএনপির এই ৪১ বছরের পথ চলাটা কিভাবে দেখছেন? এবিষয়ে ড.এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন,‘৪১ বছরের পথ চলা সব সময় সাংগঠনিক হবে না এটিই স্বাভাবিক। আমি যেটি বলব আমরা যে কাঠামোগুলো ভোগ করতেছি এর মূল ভিত্তিই জিয়াউর রহমানের সময় করা এবং মন্ত্রণালয়গুলো করা। এখন সময় কিছুটা খারাপ যাচ্ছে সরকারের নিপীড়নের কারণে। আশা করি এটি ঠিক হয়ে যাবে, এটি থাকবে না। সাহস সঞ্চার করে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

আপনারা আন্দোলন করতে আসলে কতটা প্রস্তুত? প্রশ্নের জবাবে এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন,‘প্রস্তুতের বিষয়টা নির্ভর করে দল যখন ডাক দিবে তার উপর।’

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আপনি কি বলবেন? জানতে চাইলে ড.এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন,‘এই মুহূর্তে দেশের ক্রান্তি লগ্নে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিএনপির আদর্শ ধারণ করে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। দল যখন আন্দোলনের ডাক দিবে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন নামতে হবে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’

বিএনপির বর্তমান পরিণতির কারণ কি আভ্যন্তরীণ কোন্দল? জানতে চাইলে ড.এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন,‘বিএনপিকে শুধু জাতীয়তাবাদী দল বললে হবে না বিএনপি এমন একটি দল যে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা এদেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশের হাল ধরেছিলেন। তাঁর আদর্শে গড়া জাতীয়তাবাদী দল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হচ্ছে একটি বিশাল কন্সেপ্ট। এই কন্সেপ্টের আলোকে দেশটা পরিচালিত হবে এটিই স্বাভাবিক। সব ভাষাভাষী, সব দলের, সব মতের, সব বর্ণের, সব ধর্মের, সবাই আমরা বাংলাদেশী। সেখানে সবাইকে একটি মঞ্চে নিয়ে আসতে পারাটা বিশাল কিছু। যেটি উনি করতে পেরেছিলেন। সেই অবস্থায় সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দীর্ঘ ৪১ বছর পার হয়ে গেল। সেখানে রাজনীতি করতে গেলে রাজনীতি করার সময় সবাই একটা দেশ সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করে। কাজ করতে গেলে দলের ভিতরে অবশ্যই কিছু না কিছু চাওয়া পাওয়া থাকে। আদর্শ এক থাকলেও মতের অনৈক্য থাকতেই পারে। আদর্শ ঠিক রেখে ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা ভাবনা থাকতেই পারে। এই সমস্যাটা আসলে মূল সমস্যা না। বিএনপির ভিতরের কোন্দল যদি কেউ বলতে চায় তবে আমি বলবো সে কোন্দল কোনো কোন্দলই না। এটি কিছু না। বিএনপির বর্তমান অবস্থাটার জন্য মূল দায়ী হচ্ছে বর্তমান সরকার।’

তিনি বলেন,‘বর্তমান বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের যে অবস্থা সেটি হল আকাশচুম্বী সমর্থন। এই সমর্থন আকাশচুম্বী হওয়ার পরও আজকে কেন বিএনপি কোনো বড় আন্দোলন করতে পারছে না এটা একটা প্রশ্ন থেকে যায়। এই জায়গা থেকে আমি যেটা বলব বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে এই পর্যন্ত যা কিছু ঘটেছে সেটা বাংলাদেশের জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে বলেই বিএনপি এ পর্যন্ত আসছে। আওয়ামী লীগের মতো দল সব সময় অন্যায়, দুই নাম্বার পদ, অপকর্ম, খুন, রাহাজানি ভোট বাক্স ছিনতাই, জনসমর্থন ছাড়া কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায় সেই পথে আসার চেষ্টা করেছে। কখনো কোনো দল তার বিরোধী দলের আন্দোলন থামানোর জন্য গুম, খুনের রাজনীতি করে নাই। বিরোধী দল থাকলে বিরোধী মত থাকলে দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। সেই পরিবেশ আজ আওয়ামী লীগ রাখে নাাই। আওয়ামী লীগ এখন যেটা করছে সেটা হলো ভিন্নমত থাকতে পারবে না। আমি যেটা বলছি সেটাই কথা। আমি শুধু না, আমি যেটা বলছি ‘আমিত্ব’ এটাতো প্রধান বিচারপতি(এসকে সিনহা)ও বলে গেছেন। আমিত্ব। আমিত্বের ব্যাপারটা চলে আসছে। আমি যা বলব তাই। আমার দল করতে গেলে কোনো ভিন্ন মত থাকবে না। যে দলে তার নিজের দলের ভিন্নমত সহ্য করতে পারবে না সে দল ভিন্ন দলের ভিন্ন মত সহ্য করবে কিভাবে? সে কারণেই আজকে ভিন্নমত বা ভিন্ন চিন্তা ধারাকে বাদ দেয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না। দেশের বিরুদ্ধে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহীতা হয়। কথা বললে তাকে গুম হতে হবে। তাকে খুন হতে হবে। রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করবে, সেখানে কেউ তো খুনের সামনে আসতে চায় না। আসবে কেন! এই একটা কারণে মানুষ রাস্তায় নামলে দিনের বেলা-রাতের বেলা গুম হতে পারে। লাশ খুঁজে পাবে না ফ্যামিলিটা। সন্তান বাবার লাশ খুঁজে পায় না। স্ত্রী তার স্বামীকে পায় না, বাবা-মা তার সন্তানকে খুঁজে পায় না, বোন তাঁর ভাইকে, ভাই তার বোনকে খুঁজে পায় না এইটা হচ্ছে বর্তমান রাজনীতির অবস্থা। গুম আর খুনের রাজনীতিতে এমনভাবে অবস্থান নিয়েছে সাধারণ মানুষের কথা বলার স্কোপ নেই।’

তিনি আরও বলেন,‘দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে মামলা, কেউ কথা বলবে পরিবারের সদস্যদেরসহ একটা দ্ইুটা না গন্ডায় গন্ডায় মামলা হবে। একজন নেতার যদি ১০০ থেকে ১৫০ টি মামলা থাকে, কারও কারও নামে ৪০০-৫০০ মামলাও রয়েছে। এটি তো কোনো রাজনৈতিক পরিবেশ হতে পারে না। রাজনীতি হবে সবার মত থাকবে। সবাই সবার কথা বলবে। সেই জায়গাটাতে কেউ ভালো বললে সেটাকে গ্রহণ করবে, খারাপ হলে বাদ দিবে। ১৯৯৭ সালে তারা (আওয়ামী লীগ) ৪টি পত্রিকা রেখে বাকি পত্রিকাগুলো বাদ দিয়েছে। এখন তো তাও নাই। ঐ সময় চারটা পত্রিকা কথা বলতো যা ছিল। তার চেয়েও এখন খারাপ অবস্থা দেখতে মনে হয় অনেক পত্রিকা, অনেক মিডিয়া, কিন্তু কথা বলার স্কোপ নেই কারও। কথা বললে সাংবাদিকদের অবস্থা বারোটা। চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে। চ্যানেলের উপর হামলা হবে। চ্যানেলের চেয়ারম্যানের জেল খাটতে হবে। এগুলোর পরে কার সাহস হয় সংসার-ধর্ম বাদ দিয়ে গুম আর খুনের রাজনীতিতে গিয়ে এই অবস্থা হয়। যার জন্য আজকে বিরোধী দল বিএনপির বিশাল সমর্থন থাকতেও আওয়ামী লীগের এই অত্যাচারের রাজনীতির কারণে আজকে এই অবস্থা। আওয়ামী লীগ আজ পর্যন্ত কখনো জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে নাই। কোনোবারই না। তারা এসেছে ভিন্ন পথেই। স্বাধীনতার পর থেকে কোনোবার আওয়ামী লীগ জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে নাই। তারা ভিন্ন পথ অবলম্বন করেই ক্ষমতায় এসেছে। ১৯৭৫ এ যেরকম চেষ্টা করেছে জাসদকে শেষ করে দিয়ে ভিন্নভাবে আসার, ১৯৯৬ সালে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে, ২০০৮ সালে উত্তর ব্যারাকে কনভেন্স করে ভিন্নভাবে চেষ্টা করেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তো পুরো অন্য কাহিনী।’

বিএনপির সাথে বর্তমানে যারা আছেন, দেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সংকটকালীন মুহূর্তে হাল ধরেছিলেন এবং রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেসকল নেতারা দলে আসার পরও কেন খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব হল না বা দলের তেমন কোনো পরিবর্তন আমরা দেখতে পেলাম না? জানতে চাইলে এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন,‘তাঁরা কিন্তু বিএনপির আদর্শ নিয়ে মঞ্চে আসেনি, তাঁরা মঞ্চে এসেছে আওয়ামী লীগের মতো দুর্বৃত্তকে হটানোর জন্য। আদর্শগত ঐক্য হয়নি। এই ঐক্য হচ্ছে আওয়ামী লীগকে সরানোর জন্য। অতএব আদর্শগত যদি ঐক্য না হয়, তবে আমরা তো বলব না যে তারা বিএনপি করে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন দল আছে।’

তাহলে বিএনপি কি মনে করে যে একক ভাবে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়? এমন প্রশ্নের জবাবে ড.এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন,‘বিএনপি সেটা মনে করে নায়। যেহেতু খালেদা জিয়া ম্যাডাম জেলে আছেন। আমি সিউর না তবে উনি হয়তো মনে করেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া সবসময় একুমুলেটিভ ছিলেন। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। আমিত্ব ব্যাপারটা নাই। জোটবদ্ধভাবে কাজ করেন। জিয়াউর রহমান উনি দেশের ট্যালেন্ট লোকগুলোকে খুঁজে খুঁজে বের করেছেন ভিন্নমতের লোকগুলোকে তিনি বঙ্গভবনে দাওয়াত দিয়ে ডেকে পরামর্শ চেয়েছেন। যেটি উদার চিন্তাভাবনা। বিএনপি উদার দল হিসেবে পরিচিত। বেগম খালেদা জিয়াও এই আদর্শে বিশ্বাসী। যে কারণে উনি চাচ্ছেন দেশের ক্রাইসিস মোমেন্টে আমি একা কেন? দেশের সবাইকে নিয়ে কাজ করবো। সেটাই হলো মূল কথা।’

আওয়ামী লীগের অভিযোগ স্বাধীনতা বিরোধীসহ শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডে সহযোগিতাকারী লোকজনকে বিএনপি প্রশ্রয় দিয়েছে? এ বিষয়ে এ বি এম ওবায়দুল বলেন,‘আওয়ামী লীগের সাথে তো শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীরাও আছে। স্বাধীনতাবিরোধী তারা কাকে বলছে? একসময় উনারাও তো জামায়াতকে নিয়ে কাজ করেছে। ১৯৯৬ সালে উনারা জামায়াতকে নিয়ে কাজ করেছে ক্ষমতায় যাওয়ার আগে। গোলাম আজমের কাছ থেকে দোয়া নিয়েছে। আজ আওয়ামী লীগের পক্ষে যায় নাই বলেই বলছে বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে কাজ করছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়