মার্কিন অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ (এনইবিআর) জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাতে উদ্যোগী হলে তাতে বিশ্বের অর্থনীতি লাভবান হবে। অবশ্য, এই সুবিধা পেতে হলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে সারা বিশ্বকে কাজ করতে হরে। খবর : ব্লুমবার্গ।
এনইবিআর তাদের সা¤প্রতিকতম গবেষণাপত্রে জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের আর্থিকখাতের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যতের প্রতি সবচেয়ে বড় হুমকি। প্যারিস চুক্তি অনুসারে বার্ষিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দশমিক শূন্য দশমিক শূন্য ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে কমানো গেলে ২১০০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক আয়ের পরিমাণ ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বাড়বে। বিপরীতভাবে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা বার্ষিক শূন্য দশমিক শূন্য ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আকারে বাড়তে থাকে, তাহলে বিশ্বের মোট উৎপাদন এবং সেবা (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২২ শতাংশ হারে কমবে।
গবেষণায় ১৭৪টি দেশের পরিবেশ এবং অর্থনীতির তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রকৃত পদক্ষেপ নেয়া হলে এবং কোন উদ্যোগ না নেয়া হলে কি প্রভাব পড়বে, গবেষকরা দুটি দিকই খতিয়ে দেখেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার শীর্ষ গবেষকেরা এই গবেষণায় অংশ নেন। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে অনেক আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছেন ট্রা¤প। একইসঙ্গে, তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি লবির ঘনিষ্ঠ সমর্থক। এনইবিআর গবেষষণাপত্রে হুঁশিয়ার করে বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এইভাবে বাড়তে থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র জিডিপির ১০ দশমিক ৫ শতাংশ হারাবে। চীন হারাবে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপি কমবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ, আগামী ৮১ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হোক বা অর্ধেকে নামুক প্রকৃত মাথাপিছু আয় ৭ দশমিক ২২ শতাংশের নিচেই থাকবে।
এই গবেষণার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামও। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সা¤প্রতিক এক নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে প্রায় অকার্যকর করে ফেলতে পারে। স¤পাদনা : রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :