রাস্তার ওপরে জল- কাদায় এবড়োখেবড়ো হয়ে আছে। এখানে-ওখানে ছোট-বড় গর্ত অনেক,গর্তে পানিও জমে আছে। দেখে মনে হয় রাস্তা নয়,যেন চাষের জন্যে প্রস্তুত ফসলি জমি।যদিও এটি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ঝাটিবুনিয়া এলাকার একটি কাঁচা রাস্তা। উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন ঝাটিবুনিয়া গ্রামের প্রধান রাস্তার সঙ্গে সংযুক্ত ঝাটিবুনিয়া জে. আর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি।
বৃষ্টির সময় কাঁচা এই রাস্তাটিতে পানি জমে থাকায় রাস্তাটিতে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ওই সব গর্তে পানি জমে রাস্তাটি চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। দেখলে মনে হয়, বৃষ্টি হওয়ার পর কঠিন মাটি চাষ করা হয়েছে। বেহাল এ রাস্তা দিয়ে ঝাটিবুনিয়া জে আর বালিকা, মই ইসহাক মাধ্যমিক ও এন ডব্লিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ ইউনিয়নের দক্ষিন ঝাটিনুয়া মহিষ কাট ও শ্রীনগর গ্রামসহ ৫-৬টি গ্রামের মানুষজন চলাচল করছেন। বেহাল এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে ছোট-ছোট যানবাহনও। রাস্তাটি স্থানীয়দের চলাচলে কষ্টের প্রধান কারণ হলেও গ্রামীণ এ রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো উদ্যোগ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও রাস্তাটি সংস্কারে কোন ভুমিকা রাখছে না।
গ্রামবাসীরা জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার আবেদন জানিয়েছে তারা। কিন্তু কারও নজরে আসছে না এ রাস্তাটি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। জে.আর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মোসাঃ লামিয়া বলে, বৃষ্টির সময় রাস্তাটিতে খুবই কাদা হয়। এ সময় কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।দক্ষিন ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মোঃবজলুর রহমান সিকদার জানান,এ গ্রামে জন্মে আমারা অপরাধ করেছি। আমাদের ইউনিয়নের প্রায় রাস্তাই পাকা কিন্তু আমরা পরে আছি আগের জমানায়। কাদাযুক্ত রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আমিও এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।যেন আমাদের দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে আমড়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে জানানো হবে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী জানান, রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে ওই এলাকার লোকজনের খুবই দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাতে দ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের ব্যবস্তা করে এলাকাবাসীর কষ্ট লাগব করা হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হবে।এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান হোসেন বলেন,রাস্তাটি পাকা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :