কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বিশ্বমানচিত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আত্মবিসর্জনের স্মারক লাল-সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন এই বাংলার জনগণের অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের আলোর বাতিঘর।
রোববার রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ভবনের মুক্তযোদ্ধা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ) আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিআইএফ এর সভাপতি বিএম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান পাটোয়ারী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন,১৫ আগস্ট এই মহামানবকে হত্যা করলো স্বাধীনতা বিরোধীরা। এ দেশ ও সমাজকে শোষণ করতে চেয়েছিল তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তাকে হত্যা করে খুনিচক্র মনে করেছিল তার আদর্শ এবং আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেবে। আমরা এও দেখেছি বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আমাদের বিশ্ব নন্দিত নেত্রী ওপর বারবার আঘাত হানছে তাকে ২২ বার হত্যা চেষ্টা করেছে। সামরিক শৈরাচারদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় বঙ্গবন্ধুর আত্ম স্বীকৃত খুনিরাই ফ্রিডম পার্টি করেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রথম বারের মত ঐক্যবদ্ধ করেন এবং তিনিই আমাদের জাতীয়তা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা করা না হতো তাহলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত রাষ্ট্র হতো। তিনি উন্নত রাষ্ট্র রচনার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিষ্ঠার সাথে সততার সাথে অত্যান্ত পরিশ্রম করে পিতার অসমাপ্ত কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পুরণের পথে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দুরদর্শী নেতৃত্বে দেশকে করেছেন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের প্রায় সব সুচকে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এক সময় বাংলাদেশকে পশ্চিমা বিশ্ব তলাবিহীন ঝুড়ি, দারিদ্র্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গণ্য করত, সেই বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক ফোরাম থেকে সম্মানিত করা হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর ভিত্তি করে টানা ১১ বছর জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনার ফসল।সম্পাদনা: সাজিয়া
আপনার মতামত লিখুন :