মহসীন কবির : পিপলস লিজিং কোম্পানি বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর সাবেক পরিচালকরা কেউ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার সকালে আপিল বিভাগ এ রায় দেন। খবর যমুনা টিভি
অনিয়ম ও খেলাপি ঋণের দায়ে ডুবতে বসা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) অবসায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধের মেয়াদ আরো ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে আরো ১৫ দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ হিসেবে আগামীকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের অর্থ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুদক। ২৩ জুলাই সোমবার দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) থেকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা ওইদিনই চিঠিটি দেশের সব বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঠিয়ে দিয়েছে। পিপলস লিজিং জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির মুখোমুখি করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে তদন্ত করে পিপলস লিজিংয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য জানতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তদন্তে পরিচালনা বোর্ডের অনেক সদস্যের অনিয়ম পাওয়া যায়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি দিয়ে পরিচালনা বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কিন্তু এতো কিছুর পরও প্রতিষ্ঠানটির উন্নতি করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। ২৬ জুন মন্ত্রণালয় অবসায়ন করতে অনুমতি দেয়। পরে অবসায়নের জন্য আদালতে যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সম্পাদনা : রাশিদ ও মহসীন
আপনার মতামত লিখুন :