শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:২০ দুপুর
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে না বাংলাদেশ

শাহীন চৌধুরী: ভারতের ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বন্ধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর পরিবর্তে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে আমদানি করা হবে। একই সাথে শীতের সময় বা বাংলাদেশের কম প্রয়োজনের সময় বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হবে। এর কারিগরি দিক যাচাই শুরু হয়েছে।

বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা বিষয়ক বাংলাদেশ ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় আলোচনা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই কমিটির ১৭ তম বৈঠক হয়। এতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও ভারতের বিদ্যুৎ সচিব সুভাষ চন্দ্র গার্গ নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ভারত চলমান বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

ভারতের সূর্যমনিনগর থেকে কুমিল্লা (উত্তর) হয়ে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন দিয়ে সরকারিভাবে এনটিপিসি’র কেন্দ্র থেকে দীর্ঘমেয়াদে ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কথা ছিল। কিন্তু এখন কুমিল্লা অঞ্চলে কোন বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। জ্বালানি সরবরাহও স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনাজপুর রংপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সমস্যা আছে। তাছাড়া সেখানের বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে বেশিরভাগ ডিজেল চালিত কেন্দ্র চালাতে হয়। এতে উৎপাদন খরচ বেশি। অথচ কুমিল্লা অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় বেশিরভাগ গ্যাস চালিত কেন্দ্র থেকে। এই খরচের বিষয় বিবেচনা করেও কুমিল্লা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নিরুৎসাহিত করছে সরকার।

বৈঠকে ভারতের বিদ্যুৎ আমদানি রপ্তানি বিষয়ে নির্দেশনা ও আইন, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে সকল ধরনের সিডি, ট্যাক্স ও ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া, রাজনৈতিক কারণে বা ভারতীয় আইন পরিবর্তনের কারণে আর্থিক কোন পরিবর্তন হলে তা থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভারতে এবং ভারতের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে অংশ নেয়া, জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত জল বিদ্যুৎ ভারতের এনভিভিএন এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানির বর্তমান অবস্থা, বাংলাদেশ ভারত যৌথভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের সম্ভাবনা, ভুটানের পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ ভারত ও ভূটানের যৌথ বিনিয়োগ এবং সেই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন দুই দেশের সচিব। আহমদ কায়কাউস বলেন, বাংলাদেশ ভারত বিদ্যুৎ সহযোগিতা দিনদিন বাড়ছে। ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়। কোন কোন খাতে কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, কুমিল্লার পরিবর্তে পঞ্চগড় অথবা সৈয়দপুর দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করা যায় কিনা তা পর্যালোচনা হচ্ছে। আর আমাদের বাড়তি বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

সুভাষ চন্দ্র গার্গ বলেন, আমরা আলোচনা করছি। আশা করি দু দেশের ভালো হয় এমন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। কারিগরি কমিটির প্রতিবেদনের পর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বৈঠকে রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়, নিদিষ্ট সময়ের অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যেই এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
এরআগে বোরবার বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির ১৭ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে স্টিয়ারিং কমিটির পরের বৈঠক ভারতে অনুষ্ঠিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়