শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ০৮:০৬ সকাল
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ০৮:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিছু এনজিওর বাধার কারণে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠাতে পারছি না, বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মোহাম্মদ মাসুদ : রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত পাঠাতে না পারায় এনজিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভাসানচরের ক্ষেত্রেও ঠিক একই অভিযোগ উঠেছে এনজিগুলোর বিরুদ্ধে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এগুলো আসলে অভিযোগ নয়, সত্যি ঘটনা। সমস্যা রোহিঙ্গাদের নয়, সমস্যা হচ্ছে এনজিওগুলোর, যারা এদের সেবা প্রদান করে। তারা বললো যে, ওখানে তাদের নৌকা দিয়ে যেতে হবে, এজন্য তাদের সমস্যা হবে। কারণ এখানে তারা ফাইভস্টার হোটেলে থাকে। সকাল ১১টায় আসে দুপুর আড়াইটায় চলে যায়। কতগুলো সংস্থা এটাকে ব্যবসায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। একাত্তর টিভি

মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের ভাসানচরে পাঠাতে চেয়েছিলাম মানবিক কারণে। লাখখানেক লোক ওখানে পাঠানো হবে। আমরা তাদের জন্য বাড়ি-ঘর বানিয়েছিলাম। বলেছি ফিশিং নেট দেবো, বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ হবে। এখন তাদের কোন কাজ কর্ম নেই। শুধু ৩ বেলা খাওয়া-দাওয়া। আমরা ভাসানচরে একটি নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করলাম। অথচ তাদের পাঠাতে পারছিনা এনজিওদের বাধায়। আমরা তাদের জোর করে পাঠাতে চাই না।

যে ৭ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে, আমরা কি তাদের ডাটাবেস তৈরি করতে পেরেছি? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মোটামুটিভাবে তাদের ডাটাবেস তৈরি করেছি।

রোহিঙ্গারা কতটা সরকারি সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সেবার ব্যবস্থা করেছি। এই যে বর্ষা এসেছে, সুন্দর বাড়ি-ঘর বানিয়ে দিয়েছি। একটি লোকও মহামারী বা অসুখের জন্য মারা যায়নি। তাদের জন্য ড্রেন, রাস্তা সব কিছু তৈরি করেছি। এরা খুব সুখে আছে। সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। এখন তারা লক্ষাধিক লোক নিয়ে দাবি তুলছে।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শরণার্থীরা যদি এক জায়গায় অনেকদিন থাকে, অনেক দুষ্টু লোক তাদের বিপদগামী করতে পারে। এজন্য বলা হচ্ছে সমস্যার সমাধান দ্রুত না হলে এর আশঙ্কা আছে। আর সন্ত্রাসীর কোন ধর্ম নাই, সারা পৃথিবীর কোনো বর্ডার নাই। তারা সবার জন্য একটা দুর্ভাবনা।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের যুগ যুগ ধরে বহন করা আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে। সব মহলের সাহায্য চাই যাতে এটা দ্রুত সমাধান করতে পারি। এ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ভারত সফরে আমরা নিশ্চই এটা উপস্থাপন করবো। যেহেতু তারা প্রকাশ্যে বলেছে, আমাদের পাশে রয়েছে। সেজন্যে আশা করি সেখানে জোরালো সাপোর্ট পাবো।

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। সমাধান সম্পর্কে বলেন, আমাদের অনেকগুলো নদী আছে। এর মধ্যে বড় ৬টি নদীর সমাধান করেছি। তিস্তা নিয়ে ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা এটার সমাধান করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেটাতে তারা এখনও অঙ্গীকারবদ্ধ। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়