নূর মাজিদ : স্থানীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯০ হাজার কোটি রুপির সমরাস্ত্র এবং গোলাবারুদ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ভারত। যার মধ্যে সমরাস্ত্র রপ্তানির মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি রুপি আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে। খবর : ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নির্দেশে এই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পূর্ববর্তী অর্থবছরের চাইতে এটা ১২ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়টি ৮০ হাজার কোটি সমমূল্যের সমরাস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন তদারকি করে। এর মাঝে রপ্তানি থেকে আয় হয় ১০ হাজার ৭৪৫ কোটি রুপি।
এদিকে চলতি লক্ষ্যমাত্রা স¤পর্কে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, এবার সামরিক সরঞ্জাম আধুনিকায়ন এবং স্থানীয় উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি স্থানীয় শিল্পের বিকাশেও সহায়ক হবে।
গত মঙ্গলবার ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) আয়োজিত আধুনিকায়ন এবং স্থানীয় উৎপাদন শীর্ষক এক সম্মেলনে অংশ নেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি ভারতের সমরাস্ত্র আমদানি নির্ভরতা উলে¬খযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘ভারত বিশ্বের শীর্ষ সমরাস্ত্র আমদানিকারক। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত সমরাস্ত্রের চাইতে আমাদের বিদেশ নির্ভরতা খুবই বেশি। বিশেষ করে, যন্ত্রপাতি এবং সাব-সিস্টেমের ওপর নির্ভরতা বেড়েই চলেছে। বিদেশী উৎপাদকদের ওপর এই নির্ভরতা কমাতেই হবে। জোর দিতে হবে স্থানীয়ভাবে প্রযুক্তির বিকাশ এবং উৎপাদনে।’
২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ভারতের স্থানীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও অস্ত্র উৎপাদন বেড়েই চলেছে। সেবছর উৎপাদিত সরঞ্জাম ও অস্ত্রের মূল্য ছিলো ৭৪ হাজার ১২১ কোটি রুপি । এবং রপ্তানি কড়া হয় ১০ হাজার ৭৪৫ কোটি রুপির সমরাস্ত্র। ২০১৭-১৮ সালে রপ্তানির পরিমাণ কমে ৪ হাজার ৬৮২ কোটিতে নেমে আসলেও পরের অর্থবছরে (২০১৮-১৯) তা ১০ হাজার ৭৪৫ কোটিতে উন্নীত হয় । স¤পাদনা ঃ খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :