শিউলী আক্তার : ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিকব টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিলো আফগানিস্তান। মাত্র দুটি সিরিজ খেলেছে তারা। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিলো। যদিও সেই সিরিজ জিততে পারেনি। পরে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে ইতিহাসে নাম লেখায় আফগানরা। অন্যদিকে ২০০০ সালে টেস্ট পেয়েছিলো বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে রয়েছে। তাই আসন্ন আফগানিস্তানের সঙ্গে একমাত্র টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।
তবে ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টিতে আফগানিস্তান দলকে সমীহ করছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সফল হওয়ার সুযোগ খুঁজছেন মিরাজ।
ঘরের মাঠের কন্ডিশন সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা আছে বাংলাদেশের। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে নাকানিচুবানি খাইয়েছে টাইগাররা। এবার সেই একই পন্থায় আফগান বধের সংকল্প করছেন মিরাজ।
এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেছেন, ‘আসলে মিরপুর, চিটাগাং যেখানেই খেলা হোক না কেন সবই তো আমাদের মাঠ। আমাদের হোম কন্ডিশন, আমরা জানি যে এই কন্ডিশনে কি হবে না হবে। এর আগে এই কন্ডিশনে তারা টি-টুয়েন্টি, ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছে। তবে টেস্ট ক্রিকেট খেলেনি। আমরা আমাদের কন্ডিশন সম্পর্কে জানি।’
আফগানিস্তানের থেকে নিজেদের এগিয়ে রাখার কারণ হিসেবে মিরাজ বলেছেন, ‘আমরা ওদের থেকে এগিয়ে আছি। অভিজ্ঞতার দিক থেকে এবং আমরা শেষ যে টেস্টে পারফর্ম করেছি সেদিক থেকে ছাড়াও অনেক দিক থেকে এগিয়ে আছি আমরা। একই সঙ্গে হোম কন্ডিশনের ব্যাপারও আছে। সবমিলিয়ে আমরা ওদের থেকে অনেকটা এগয়ে আছি।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমদে চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজে দুটি টেস্ট থাকলে একটি অন্তত মিরপুরে আয়োজন করা হতো বলে মনে করেন মিরাজ। চট্টগ্রামের কন্ডিশনে দ্রুতই মানিয়ে নেয়া সম্ভব বলে মনে করেন এই অলরাউন্ডার।
তার মতে, ‘আমরা চেষ্টা করবো আমাদের কন্ডিশনটি কাজে লাগানোর জন্য। দুটি টেস্ট থাকলে হয়তো মিরপুরেও খেলা থাকতো। যেহেতু সুযোগ আছে আমাদের, চিটাগাংয়েও হয়তো ওখানকার কন্ডিশনে আমরা মানিয়ে নিতে পারবো। ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো। হয়তো ওখানে আমাদের ব্যাটসম্যানদের সুযোগ থাকবে রান করার।’
আপনার মতামত লিখুন :