শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৫০ দুপুর
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৫০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাছের পোনা পরিবহনের আড়ালে মাদক ব্যবসা, গ্রেপ্তার ২

মাসুদ আলম : গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে অভিযান চালিয়ে একটি মিনি ট্রাক তল্লাশি চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মাইন উদ্দিন (২৫) ও মো. শরিফুল ইসলাম (২৪)।

শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি মোবাইল ফোন, ৭ হাজার ৭০ টাকা ও মিনিট্রাকটি জব্দ করা হয়।
র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, তথ্য ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মাছের রেণু পোনাবাহী মিনি ট্রাকটিতে করে মাদকের চালান গাজীপুরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে র্যাব ওই এলাকার মডার্ন ফার্নিচার মার্ট দোকানের সামনে থেকে চালানটি আটক করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালানকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে গাঁজা নিয়ে আসে চক্রটি। এরপর গাঁজার চালানগুলো বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাকে করে ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারি মূল্যে বিক্রি করা হয়। এই চক্রের সদস্য মুন্সীগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী। এরপর তাদের সহযোগী মাইন ও শরিফুলের মাধ্যমে মাদকের চালান ঢাকায় নিয়ে এসে সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে ট্রাকটিতে মাছের রেণু পোনা পরিবহনের আড়ালে কৌশলে মাদকদ্রব্য পরিবহন করে বলে জানান।
মাইন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় দর্জি ছিলেন। স্বল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জনের লোভে দর্জির কাজ ছেড়ে মাদক ব্যবসা শুরু করেন। মাদকের অধিকাংশ চালান টঙ্গী ও এর আশেপাশের এলাকায় হস্তান্তর করেছেন বলেও স্বীকার করেন। চালান প্রতি তাকে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দেয়া হতো।

শরিফুল জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় ড্রাইভার। এই চক্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। মাইনের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি মিনি ট্রাকটিতে মাছের রেণু পোনা পরিবহনের আড়ালে কৌশলে মাদকদ্রব্য পরিবহন করেন। মাদক কারবারিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছেন। তারা মাদক পরিবহনে যাত্রীবাহী বাস, মৌসুমী শাক-সবজি বহনকারী ট্রাক, আম, ধান, গম, ভূট্টা ইত্যাদি পরিবহনকারী গাড়ি ব্যবহার করছেন।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়