মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান : ভিডিওতে আহ্বান জানানো হয়েছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে যাতে কাশ্মীর নিয়ে কোনো পারমাণবিক যুদ্ধ বেধে বিশ্বকে ধ্বংস না করে দেয়। কিন্তু তাদের এই আহ্বানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ভারত-পাকিস্তানকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার কথা বলছে... কেউ কিন্তু কাশ্মীর সমস্যার প্রকৃত সমাধানে এগিয়ে আসছে না। মাঝখান থেকে এসব উত্তেজক ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের জেহাদী উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়ে কাশ্মীর সমস্যাকে বিস্তৃত ও জটিল করে তুলছে। আমাদের এবং বিশ্বকে পরিষ্কার করে কাশতে হবে। কাশ্মীর সমস্যা পাকিস্তানের কোনো সমস্যা নয়। এটি সম্পূর্ণ কাশ্মীরিদের সমস্যা এবং ভারতকে কাশ্মীরিদের ইচ্ছামতো কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করে দেয়ার জন্য ভারতের উপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
ভারত নিজেদের সমস্যা বলে কাশ্মীরিদের উপর নির্যাতন, নিপিড়ন ও দমন চালানোর কোনো অধিকার রাখে না। কাশ্মীর সমস্যা শুধু কাশ্মীরিদের, তাই ভারত ও পাকিস্তান... উভয়ের উপরই চাপ সৃষ্টি করতে হবে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে কাশ্মীরের সমস্যা কাশ্মীরিরা সমাধান করতে পারে। সেই চাপ সৃষ্টি করার পদক্ষেপে যদি পাকিস্তান বা অন্য কোনো মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র নেতৃত্ব দিতে চায় তাহলে আমাদের সবাইকে ওই রাষ্ট্রকে সহায়তা করা উচিত। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকেও তার তথাকথিত আজাদ-কাশ্মীরকেও কাশ্মীরিদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।
কোনো অবস্থাতেই কাশ্মীর ইস্যু পাকিস্তান-ভারত দ্বিপাক্ষিক ইস্যু বলে পানি ঘোলা করার সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে কাশ্মীরিদের সমস্যা যা ভারতকে কাশ্মীরিদের ইচ্ছা অনুযায়ী সমাধান ভারতকেই দিতে হবে। যদি ভারত তথা মোদী সরকার কাশ্মীরিদের সমস্যা কাশ্মীরিদের ইচ্ছামতো সমাধান দিতে না পারে তাহলে অবশ্যই আমরা ভারতের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবো। দমন, নিপিড়ন নির্যাতন করে যেমন কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে না তেমনি সন্ত্রাস বা জঙ্গি তৎপরতা চালিয়েও সমাধান হবে না। সমাধানের একমাত্র পথ কাশ্মীরিদের সঙ্গে আলোচনা। তাই আমাদের সুপারিশ থাকবে ভারতের মোদী সরকার নির্বাচনে বিশাল জয়ের দম্ভক্তি নিয়ে একগুঁয়েমী করে নিজেদের আধিপত্য ও কায়েমী স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নিজেদের মতবাদ কাশ্মীরিদের উপর চাপিয়ে দেয়া কাশ্মীরের জনগণ যেমন মেনে নেবে না তেমনি বিশ্ববাসীও মেনে নেবে না। সংক্ষিপ্ত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :