আক্তারুজ্জামান : যে পেস লাইন দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৯ রানে অলআউট করে দিয়েছিলো ইংল্যান্ড। সে ইংলিশরাও পড়েছে পেস ব্যাটারির ফাঁদে। শুধু ফাঁদে পড়ায় না একেবারে সাক্ষাত যমের হাতে। অসি পেস আগুনের তোপে মাত্র ৬৭ রানে শেষ হয়েছে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ১১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
আরচারের আগুনে যেমন অস্ট্রেলিয়া পুড়েছিলো তেমন হ্যাজেলউডের আগুনে পুড়লো ইংল্যান্ড। জোফরা আরচার ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। আর জস হ্যাজেলউড শিকার করেছেন ৫টি উইকেট। পাশাপাশি দারুণ সঙ্গ দিয়ে ৩ জন ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন প্যাট কামিন্স।
হ্যাজেলউডই প্রথম জোড়া ধাক্কায় ফিরিয়েছেন জেসন রয় ও জো রুটকে। মাঝখানে প্যাট কামিন্স ফেরালেন ররি বার্নসকে। এরপর প্যাটিনসনের জোড়া আঘাতে ফিরলেন বেন স্টোকস ও জো ডেনলি। ৫ উইকেট নেই, রান মোটে ৪৫! স্কোর ওখানে আটকে থাকতেই হ্যাজেলউডের তৃতীয় শিকার জনি বেয়ারস্টো।
সেই ৪৫ এর সঙ্গে আরও ৯ রান যোগ করে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলো ইংল্যান্ড। তখনই তারা জানতো, ওকস-বাটলারের জুটিটাই ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ সুযোগ। এখান থেকে ইংল্যান্ড ঘুরে না দাঁড়ালে, কে জানে, হয়তো অ্যাশেজের ফলটাই নির্ধারিত হয়ে যাবে। অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে আছে এজবাস্টন টেস্ট জিতে। লর্ডস টেস্ট ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এখানে জয় মানে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ হারবে না, তা নিশ্চিত হয়ে যাওয়া।
লাঞ্চের পর প্রথম বলেই ক্রিস ওকস ফিরলেন। পরের ওভারের প্রথম বলে ফিরলেন বাটলার। এর পরের ওভারে আর্চার, তার পরের ওভারে জ্যাক লিচ। টানা চার ওভারে খেল খতম!
এই টেস্ট পেসারদের টেস্ট। ২০ উইকেটের সবগুলো পেসারদের। কাল জফরা আর্চার একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। জফরার জবাব হয়ে এলেন জশ। কামিন্সের ৩ আর প্যাটিনসনের উইকেট ২টি। জো ডেনলি (১২) ছাড়া ইংলিশদের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারেনি নিজের রান।
আপনার মতামত লিখুন :