আসিফুজ্জামান পৃথিল : জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন-ইউএনএইচসিআর বলছে গত ২ বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে তারা যথেষ্ঠ কাজ করেছে। কিন্তু সাহায্য সহযোগীতা আর ত্রাণ দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করে সংস্থাটি। তারা বলছে এই সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন, যা রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রহীন গোষ্ঠীতে পরিণত করেছে, সেটা অবশ্যই বদলাতে হবে। এই লক্ষ্যে মিয়ানমারকে চাপ দিতে সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
এই বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজার ফিল্ড অপারেটর অস্কার সানচেজ বলেন, ‘প্রথম বছরে আমাদের লক্ষ্য ছিলো এদের জীবন বাঁচানো। প্রাথমিকভাবে আমরা শুধু মৌলিক প্রয়োজন নিশ্চিত করেছি। দ্বিতীয় বছরে আমরা চেষ্টা করেছি তাদের জীবনমান বাড়াতে। যাতে তারা একটু ভালো একটু আরামে থাকতে পারে। এবার আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ, তাদের নাগরিক অধিকার ফেরাতে সহায়তা করা।’ মিয়ানমারের যে নাগরিত্ব আইন এবং দেশটির বিভিন্ন নৃতাত্তি¡ক জাতিগোষ্ঠীর নামের তালিকা রয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করেছে ইউএনএইচসিআর। এই তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম নেই। দেশটির সরকার এই জাতিগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ থেকে আগত বলে উল্লেখ করে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, এমনটা কোনোভাবেই হতে পারে না। মিয়ানমারকে চাপ দিতে হবে নিজেদের নাগরিকদের স্বীকৃতি দেয়ার। নাহলে কোনোভাবেই নিরাপদ প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। নাগরিকত্ব না পেলে রোহিঙ্গারা স্বদেশে প্রদ্যাবর্তন করতে চাইবেন না বলে মনে করে সংস্থাটি। তবে বাংলাদেশ সরকার ও জনগনের অকুণ্ঠ প্রশংসা করে জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের মানুষকে সারা বিশ্ব সবসময় স্বরণ করবে। কারণ বড় হৃদয়ের সাহসী ব্যক্তিদের স্থান হয় ইতিহাসের সর্বাগ্রে।
আপনার মতামত লিখুন :