খালিদ আহমেদ : দেশের বিশাল সমুদ্রসম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করার লক্ষ্যে মাইনিং পোর্ট ও ফিশ হারবার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) । ব্লু-ইকোনমির ওপর গুরুত্বারোপ করায় শিগগিরই সমুদ্রসম্পদ আহরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। সমুদ্রের গভীরে থাকা মূল্যবান মিনারেল মিশ্রিত মাটি-বালি সমুদ্র উপকূলের নির্দিষ্ট স্থানে তুলে সেমি প্রসেস করার জন্য মাইনিং পোর্ট প্রয়োজন। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে। একইভাবে মূল্যবান টোনা ফিশসহ অন্যান্য মাছের জন্য ফিশ হারবার পোর্ট দরকার। উক্ত হারবারে থাকা প্রক্রিয়াজাত কারখানা থেকে মাছ সরাসরি বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। যুগান্তর
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে বন্দর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (ফিন্যান্স) কামরুল আমিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চবক চেয়ারম্যান বলেন, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার এ্যালবাম তৈরি করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্দরকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের পরিকল্পনা থাকবে এতে। ইতিমধ্যে বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য জমি নেওয়া হয়েছে। মিরসরাই এলাকায় জমি কেনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ইকুইপমেন্ট সংযোজনসহ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে বিশ্ব বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬ ধাপ এগিয়ে এসেছে। গত বছর চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৭০, এ বছর তা ৬৪ তে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের শীর্ষ বন্দরের তালিকার ৫০-এর মধ্যে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ওভার ফ্লো-ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ আগামী ২ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হলে হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বন্দরে আসা জাহাজ ৭২ ঘণ্টার স্থলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য খালাস ও বোঝাই কাজ সম্পন্ন করতে পারবে। তিনি বলেন, বন্দর সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় বে-টার্মিনাল হবে ফোকাল পয়েন্ট। বে-টার্মিনালে ডেলিভারি টার্মিনাল ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মিত হবে। যা আগামী দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তিনি আগামী দুই/তিন বছরকে চট্টগ্রামে বন্দরের জন্য ক্রিটিক্যাল সময় হিসেবে উল্লেখ করেন। কারণ এ সময়ের মধ্যে বন্দরে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিনকার মতো কয়েক হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি প্রবেশ করবে না। সকল কন্টেইনার জাহাজ থেকে বে-টার্মিনালের ডেলিভারি ইয়ার্ডে চলে যাবে। উক্ত স্থান থেকে ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান পণ্য নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলে যাবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে মহাপরিকল্পনায় ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। সম্পাদনা : ওয়ালি উল্রাহ সিরাজ
আপনার মতামত লিখুন :