আশরাফুল আলম খোকন : সেদিন মারা গেলে এতোদিনে হয়তো সবাই ভুলে যেতো। এই নামের একজন মানুষ ১৫ বছর আগেই ইতিহাস হয়ে যেতো। এটাই বাস্তবতা। বাস্তবতার অন্য দিকটি হলো তখন মারা যাইনি। মহান আল্লাহর কৃপায় পুনর্জন্ম পেয়েছি। পুনর্জন্মে আমি বিশ্বাস করি আর না করি, আমার এই জীবন নিয়ে গর্বিত। গর্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। শুধু আমি না, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের গ্রেনেড হামলায় যারা আহত হয়েছেন তারা সবাই গর্ব করতে পারেন। যারা মারা গেছেন তাদের মৃত্যু গৌরবের। কারণ ওই দিন আমাদের কাউকে হত্যার জন্য ওই নারকীয় হামলা চালানো হয়নি। টার্গেট ছিলেন শুধু একজন... তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
তাকে হত্যার জন্য ১৩টি গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিলো। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। তাকে ছোড়া ঘাতক গ্রেনেডের স্পিøন্টারগুলোয় যারা মারা গেছেন এবং আমরা যারা আহত হয়েছি তারা বহন করছি। আর এজন্যই আমরা গর্বিত, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রক্ষা করতে পেরেছি এ দেশের জন্য, এই দেশের মানুষের উন্নতির জন্য। আর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মানববর্ম তৈরি করে প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে রক্ষা করেছেন নিজের জীবনকে বিপন্ন করে। এইটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগ। এই আদর্শকে নিশ্চিহ্ন করার ক্ষমতা পৃথিবীর কারও নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :