শেখ আদনান ফাহাদ : আমি ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে আজীবন ঋণী থাকবো। শেখ হাসিনা আমার জীবনে শান্তি এনেছেন। হ্যাঁ আমার হয়তো গাড়ি নেই, নিজের ফ্ল্যাট বা বাড়ি নেই, ব্যাংকে অনেক টাকা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আমলে আমি যা পেয়েছি সেটি টাকা দিয়ে কেনা যায় না। আমি কম করে হলেও ১৫টি দেশে তার মিডিয়া টিমের সদস্য হয়ে গিয়েছি। চেষ্টা করেছি সৎ থেকে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে। এই মহীয়সী নারীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তার সরাসরি স্নেহ পেয়েছি। তিনি কী পরিমাণ মমতাময়ী সেটি আমরা সবাই জানি, কিন্তু অনেকে স্বীকার করি না।
২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে হজ করতে গিয়ে আমাকে টিমের সবার ছোট দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘এই তুমি আবার হারিয়ে যেও না যেন’। সজীব ওয়াজেদ জয়ের সন্তানের এক জন্মদিন পালিত হয়েছিলো ব্রায়ান লারার বাড়ি সুদূর ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে। কমনওয়েলথ সামিট ছিলো সেখানে। ফাঁকে খুব সংক্ষিপ্ত আয়োজন। জন্মদিনের অতি সাধারণ উদ্যাপনের সময় আমি নোট নিচ্ছিলাম। তিনি দেখে বললেন, এই তুমি এগুলো রাখো, কেক খাও। ২১ আগস্ট। অভিশপ্ত দিন। এই দিনে তিনি যদি আমাদের ছেড়ে চলে যেতেন, বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতো। আজ যে জামায়াত করে, যে বিএনপি করে, যে কিছুই করে না এমন সবার জীবনেই কোনো না কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন শেখ হাসিনা। নিমকহারামরা এগুলো স্বীকার করতে লজ্জা পায়, কুণ্ঠাবোধ করে। আমি নিমকহারাম হতে চাই না। তিনি আমাদের মাঝে আরও অনেকদিন সুস্থ শরীর আর মন নিয়ে বেঁচে থাকুন। আমিন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :