শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:২৭ রাত
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: পরমাণু অস্ত্রে কার সক্ষমতা কেমন?

অনলাইন ডেস্ক : ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। চলতি মাসের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংসদ জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে সীমান্তে পাক-ভারতের মধ্যে কয়েক দফা গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

এ নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের পরমাণু হামলার হুমকিও দেয়া হয়। এদিকে কাশ্মীরিদের পক্ষে সব ধরনের সহযোগিতা করতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। দেশটির সেনাপ্রধান ইমরান খানও কাশ্মীরিদের পক্ষে থাকার কথা জানান।

১৯৪৭ সাল থেকে দেশ ভাগের পর কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনেকবার যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্যাটেজিক স্টাডিজের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী (আইআইএসএস) দেশ দুটির সামরিক অবস্থান জানা যায়।

সেনাবাহিনীর বাজেট

২০১৮ সালে ভারত ৫৮ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে। যা দেশটির জিপিডির ২.১ শতাংশ। এর মধ্যে ১.৪ মিলিয়ন ডলার শুধু সক্রিয় সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ করা হয়।

গত বছর পাকিস্তান ১১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে যা জিপিডির ৩.৬ শতাংশ। এটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ সেনাবাহিনীর জন্য। এটি ২০১৮ সালে বিদেশি সামরিক সহায়তায় হিসেবে ১০০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে।

ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র

ভারত ও পাকিস্তান দেশ দুটিই ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র ক্ষমতাসম্পন্ন। ভারতের ৯ ধরনের সচল ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে অগ্নি-৩ যার পরিসর ৩ হাজার কিলোমিটার থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার (৩ হাজার ১০৬ মাইল। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র সিএসআইএসের তথ্য অনুযায়ী।

পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ ছোট ও মাঝারি পাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, যে গুলো ভারতের যে কোনো অংশে পৌঁছাতে পারে। সূত্র: সিএসআইএস। এছাড়া শাহিন-২ নামে পাকিস্তানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এর পরিসর ২ হাজার কিলোমিটার বা ১ হাজার ২৪২ মাইল।

পাকিস্তানের ১৪০-১৫০টি পরমাণুবাহী যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে। তুলনার দিক দিয়ে ভারতের ১৩০-১৪০টি রয়েছে। সূত্র: এসআইপিআরআই।

সেনাবাহিনী

ভারতের ১৪ লাখ ৪৩ হাজার শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে। এদের সহযোগিতার জন্য রয়েছে ৩ হাজার ৫৬৫ যুদ্ধ ট্যাংক, ৩ হাজার ১০০ পদাতিক বাহিনীর যুদ্ধযান, ৩৩৬টি সাঁজোয়া যান ও ৯ হাজার ৭১৯টি আর্টিলারি।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় একই ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম রয়েছে। ৬ লাখ ৫৩ হাজার সেনাবাহিনীর জন্য ২ হাজার ৪৯৬টি ট্যাংক, ১ হাজার ৬০৫টি সাঁজোয়া যান, ৪ হাজার ৪৭২টি আর্টিলারি গান ও ৩৭৫টি স্ব-চালিত হ্যালোজার্স।

এ মাসের আইআইএসএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বিশাল এ সেনাবাহিনীর জন্য অপর্যাপ্ত সহযোগিতা, পরিচর্যা এবং গোলাবারুদ ছাড়াও খুচরা যন্ত্রাংশ ঘাটতি রয়েছে।

বিমানবাহিনী

ভারতের ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কর্মী বাহিনীর জন্য ৮১৪টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী বেশ বড় হলেও তার যুদ্ধ জেট বিমান নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার জন্য ৪২টি স্কোয়াড্রন জেট দরকার। প্রায় ৭৫০টি বিমান, চীন ও পাকিস্তান আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য। রাশিয়ার পুরাতন মিগ-২১ যুদ্ধবিমান রয়েছে যা প্রথম ১৯৬০ সালে ব্যবহৃত হয়েছে। এগুলো শীগ্রই অবসরের পথে রয়েছে। ২০৩২ সালের মধ্যে ভারতের ২২টি স্কোয়াড্রন থাকতে পারে। দেশটির কর্মকর্তাদের তথ্যানুযায়ী।

পাকিস্তানের ৪২৫টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে চীনের তৈরি এফ-৭পিজি এবং আমেরিকান এফ-১৬ ফ্যালকন যুদ্ধবিমান রয়েছে। পাকিস্তানের ৭টি বায়ুবাহী পূর্ব সতর্কতা নিয়ন্ত্রিত বিমান রয়েছে যা ভারতের চেয়ে তিনটি বেশি। আইআইএসএসের সূত্র অনুযায়ী। ভারতীয় সেনারা নতুন মারাত্মক স্নাইপার রাইফেল এলওসি পেয়েছে।

পাকিস্তানের আইএসআরের তথ্য অনুযায়ী দেশটির বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়ন করে সাজানো হচ্ছে।

নৌবাহিনী

ভারতের নৌবাহিনীর একটি বিমান বহনকারী, ১৬টি সাবমেরিন, ১৪টি সাবমেরিন ধ্বংস করার ক্ষেপণাস্ত্র, ১৬টি উপকূলীয় যুদ্ধজাহাজ ও ৭৫টি যুদ্ধ ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান। দেশটির নৌবাহিনীর সামুদ্রিক ও নৌবিমান কর্মীসহ ৬৭ হাজার ৭০০ কর্মী রয়েছে।

পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য সমুদ্রতল রয়েছে, দেশটির ৯ ফ্রিগেটস, ৮টি সাবমেরিন, ১৭টি সামুদ্রিক যুদ্ধজাহাজ এবং ৮টি যুদ্ধ ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান রয়েছে।

সূত্র: ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী। যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়