লিহান লিমা: অবরুদ্ধ কাশ্মীরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু স্থানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিলেও গ্রেপ্তার, ধর-পাকড় ও নিরাপত্তা বাহিনীর চাদরে এখনো সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রশাসন প্রাইমারি ও মিডল-ক্লাস পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় খোলার নির্দেশ দিলেও শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। দ্য হিন্দু।
কাশ্মীরের সরকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শ্রীনগরের কয়েকটি এলাকায় বিধি-নিষেধ সরিয়ে নেয়া হয়েছে, ব্যারিকেড সরানো হয়েছে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারী নির্দেশের পর কয়েকটি স্কুল, বিশেষ করে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। তবে কিছু স্টাফ কাজ ফিরলেও কোন শিক্ষার্থীই ক্লাসে যোগ দেয় নি। তারা বলছেন, থমথমে পরিস্থিতিতে বাবা-মা সন্তানদের স্কুলগুলোতে পাঠাচ্ছেন না।
গত সপ্তাহে সরকার সোমবার থেকে প্রাইমারি স্কুলগুলো খোলার নির্দেশ দেয়। পরে বুধবার হাই-স্কুলগুলোও খোলার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোন শিক্ষার্থী আসেন নি। মঙ্গলবার ভারত সরকার বলেছে, কাশ্মীরের ২২টি জেলার মধ্যে ১২টিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। ১৫ দিন পর শ্রীনগরের বিখ্যাত ক্লক টাওয়ার থেকে কড়া নিরাপত্তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানশাল বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ১৯৭টি পুলিশ স্টেশনের মধ্যে ১৩৬টি পুলিশ স্টেশনে ডে-টাইম বিধিনিষেধ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শ্রীনগরের হাইওয়ে ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। ৯৩ হাজার ল্যান্ডলাইন ফোনের মধ্যে ৭৩ হাজার ল্যান্ডলাইনে সংযোগ পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে। সরকারী অফিসে উপস্থিতির পরিমাণ বেড়েছে।
যদিও কাশ্মীরের মার্কেটগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে, এবং সড়কে গণপরিবহন চলাও বন্ধ রয়েছে। ১৭তম দিনের মতো বন্ধ রয়েছে মোবাইল সেবা ইন্টারনেট সংযোগ।
সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :