সমীরণ রায়: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে যাবে আওয়ামী লীগ। খালেদা জিয়াও এ হামলার দায় এড়াতে পারে না।
বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, হরকাতুল জিহাদের নেতা ২১ আগস্টের অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি রয়েছে তারেক রহমানের নির্দেশেই তারা এই হামলা চালিয়েছে। তারেক রহমানই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে কর্ম সম্পর্কের অভাব রয়েছে, তারা ২১ আগস্ট হামলার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যে উঁচু দেয়াল সৃষ্টি করে দিয়েছে তা এড়িয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এটাই সত্যি, এটাই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর ২০০৪ সালের আমাদের নেত্রী শেক হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে রক্তের বন্যা বয়ে দিয়েছিলো।ইতিহাসের এই ঘটনা দুটি একই সূত্রে গাঁথা। একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা আমরা মনে করি আজকে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে যে কর্ম সম্পর্ক থাকা দরকার এই দুটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে তা চিরদিনের মত ছিন্ন করেছে বিএনপি। তারপরও আমার কিন্তু যুগপৎ আন্দোলন করেছিলাম। তারপরও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের স্বার্থে বেগম খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই হত্যাকান্ডের বিচারিক আদালতে বিচার হয়েছে। এখন এটার কেস রেফারেন্সের শুনানি হচ্ছে। এটা একটা প্রক্রিয়াগত ব্যপার। ইতিহাসের এই কলংকজনক রক্তাক্ত এই ঘটনা। যেখানে আইভি রহমানসহ ২৪টি তাজা প্রাণ ঝড়ে গেছে। তাদের প্রাইম টার্গেট ছিলো শেখ হাসিনা।
স্মৃতিচারণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজও বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আসলে রক্তাক্ত সেই কান্নার শব্দ শুনতে পাই, তাতে আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠি। আমরা আজ শপথ নিবো, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সন্ত্রাস-সম্প্রাদায়িকতা, হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চিরতরে নির্মূল করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাঙালির নির্ভর যোগ্য ঠিকানা। তার নেতৃত্বে বাংলাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলার রাজনীতি থেকে সাম্প্রদায়িকতা, হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মোকাবেলা করবো।
এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওবায়দুল কাদের। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর প্রমুখ।
এসময়ে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম ও সহযোগিতা সংগঠনের নেতারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানান। সম্পাদনা : আহসান/মুসবা
আপনার মতামত লিখুন :