শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৪০ দুপুর
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টেও ফেরানো যাচ্ছে না তারেক-তাজউদ্দীনকে

ওয়ালি উল্লাহ : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে অন্যতম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জঙ্গি নেতা মাওলানা মো. তাজউদ্দিন। এদের মধ্যে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে ও তাজউদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে তাদের দেশে ফেরাতে নানা ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে সরকার। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল তাদের গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারি করলেও তাদের ফেরানো সম্ভব হয়নি। ইত্তেফাক, সমকাল

জানা গেছে, আফগান-ফেরত মুজাহিদদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়ে তোলা হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম (হুজি-বি)। ২০০০ সাল ও তার পরবর্তী পাঁচ বছর এই জঙ্গি সংগঠনটি ভয়ানক হয়ে ওঠে। ওই পাঁচ বছরে তারা শতাধিক মানুষ হত্যাসহ ১৩টি গ্রেনেড হামলা চালায়। যার মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহাসমাবেশে গ্রেনেড হামলা অন্যতম। অভিযোগ আছে, পরবর্তী সময়ে ওই হামলার তদন্তকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। আর সেটির নেতৃত্ব দেন বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

পরবর্তী সময়ে আসামিদের স্বীকারোক্তিতে হামলায় তারেক রহমানের সমর্থন থাকার প্রমাণ মেলে। আর অভিযোগ প্রমাণিত হাওয়ায় গত বছর ১৯ জনকে ফাঁসি, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ১৮ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এখনো পলাতক।

এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা হয় তারেক রহমানের হাওয়া ভবনে। তিনি এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া এই আসামি এখন লন্ডনে পালিয়ে আছেন।’

এই মামলার রায় হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয় তরেক রহমানের নামে। পরে এ মামলার রায়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো নোটিশ জারি করে সংস্থাটি। তবে কোনো নোটিশেই তাকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। একইভাবে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও হুজির শীর্ষ নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছেন। তাকেও ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না।

ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের পরও পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বিদেশে পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিয়ে থাকি। আগেও ৩-৪ জন আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোল আমাদের সহায়তা করেছে। আশা করছি, সংস্থাটির সহায়তায় বাকিদেরও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘তারেক রহমান এই ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। তিনি সময়মতো দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করে আপিল করবেন।’

ডব্লিউএস/এসবি

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়